চেন্নাই সুপার কিংস ও রাজস্থান রায়্যালসের পর ইন্ডিয়ান প্রিমিয়র লিগ থেক নির্বাসিত হতে পারে কিংস ইলেভেন পাঞ্জাব৷ চলতি মরশুমের শেষেই ভারতীয় বোর্ডের শাস্তির মুখে পড়তে হতে পারে প্রীতি জিন্টাদের ফ্র্যাঞ্চাইজিকে ৷
পাঞ্জাব ফ্রাঞ্চাইজির অন্যতম মালিক নুসলি ওয়াদিয়ার । নিষিদ্ধ ড্রাগ রাখার দায়ে জাপানে কারাদন্ড হয়েছে তার ছেলে। বিখ্যাত শিল্পপতির ছেলেকে প্রথমে দু’বছরের কারাদণ্ডের নির্দেশ দিয়েছে জাপানের একটি আদালত। তবে তাঁকে শাস্তি দিয়েই তা পাঁচ বছরের জন্য স্থগিত করে দেওয়া হয়েছে।
এর মধ্যে কোনও গুরুতর অপরাধ না করলে শাস্তি হবে না তাঁর। তাঁর কাছে যে ২৫ গ্রাম ড্রাগ ছিল, জেরায় তা স্বীকার করে নেন নুসলি ওয়াদিয়া। তবে এও জানান, কেবলমাত্র ব্যক্তিগত ব্যবহারের জন্যই নিজের সঙ্গে মাদক রেখেছিলেন তিনি।
এদিকে নুসলির এই কান্ডের জন্যই আইপিএল আসরে নিষিদ্ধ হতে পারে পাঞ্জাব ফ্রাঞ্চাইজি। আইপিএল-এর নিয়ম অনুসারে, কোনও দলের সঙ্গে যুক্ত একজন ব্যক্তি যদি এমন কোনও কাজ করেন যাতে সুনাম নষ্ট হয়, তাহলে সেই দলকে সাসপেন্ড করা হতে পারে।
এর আগে বলিউড অভিনেত্রী প্রীতি জিন্টার সঙ্গে নেসের প্রেম নিয়ে জল্পনা ছড়িয়েছিল। আইপিএলে একসঙ্গে কিংস ইলেভেন পাঞ্জাব দলটিও কেনেন প্রীতি এবং নেস। কিন্তু, ২০১৪ সালে নিজের বয়ফ্রেন্ডের বিরুদ্ধে যৌন হেনস্থার মামলা করেন প্রীতি। অভিনেত্রীর করা সেই মামলা এখনও চলছে। এরই মধ্যে নয়া বিতর্কে নুসলি ওয়াদিয়ার ছেলে।
জানা গিয়েছে, প্রথমে বিষয়টি তদন্তের জন্য কমিশনে পাঠানো হবে। তারপর তা ওম্বুডসম্যানের কাছে জমা পড়বে। কোনও ফ্র্যাঞ্চাইজির প্রতিনিধি যদি ১৪ নম্বর ক্লজের ২ নম্বর ধারা ভঙ্গ করেন, তবে সেই দলকে নির্বাসিত করতে পারেন ওম্বুডসম্যান। ঠিক যেমনটা হয়েছিল রাজস্থান ও চেন্নাইয়ের ক্ষেত্রে।
মালিকের নাম গড়াপেটার সঙ্গে জড়ানোয় আইপিএল থেকে নির্বাসিত হয়েছিল রাজস্থান রয়্যালস এবং চেন্নাই সুপার কিংস। দু’বছর নির্বাসনের পর ২০১৭ সালে টুর্নামেন্টে কামব্যাক করে দুটি দল। বিসিসিআই সূত্রে খবর, এবার পাঞ্জাবও তেমনই সমস্যায় পড়তে পারে।