চলতি বছরের জুনে জাতীয় দলের নির্বাচক প্যানেলের দায়িত্বে থাকা মিনহাজুল আবেদিন নান্নু ও হাবিবুল বাশার সুমনের মেয়াদ শেষ হয়েছে। তা সত্বেও শ্রীলঙ্কা সফরে দলে নির্বাচনে তাদের উপর ভরসা রাখে বিসিবি। তবে আগামী শনিবার বিসিবির বোর্ড সভায় মেয়াদোত্তীর্ণ নির্বাচক প্যানেলের পরিবর্তন আসার গুঞ্জন রয়েছে।
বিসিবির বিশ্বস্ত সূত্র থেকে জানা যায় এই দুই নির্বাচকের সঙ্গে চুক্তি নবায়ন না করার সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেলেছে বিসিবি। আগামী ২৭ জুলাই অনুষ্ঠেয় বিসিবির সভায় নির্বাচক হিসেবে তাদের থাকা না থাকার বিষয়টি চূড়ান্ত হবে। নান্নু ও বাশারের পরিবর্তে জাতীয় দলের সাবেক অধিনায়ক খালেদ মাসুদ পাইলট এবং সাবেক পেসার মঞ্জুরুল ইসলামকে নির্বাচকের দায়িত্ব দেয়া হতে পারে।
এদিকে গুঞ্জটাকে একদম উড়িয়ে দেওয়াও যাচ্ছে না। কারণ শ্রীলঙ্কা সফরে পাঠানো হয়নি প্রধাণ নির্বাচক নান্নুকে। আরেক নির্বাচক হাবিবুল বাশার পারিবারিক সফরে যাচ্ছেন যুক্তরাষ্ট্রে। এবারই প্রথম কোনো নির্বাচক ছাড়াই বিদেশ সফরে গেছে দল। সুতরাং নির্বাচকের পদে তাদের না থাকার বিষয়টি অনেকটাই এখানেই মিলে যাচ্ছে।
এদিকে ক্রিকেট পরিচালনা বিভাগের প্রধান আকরাম খান বিষয়ে বলেছেন, ‘টিকিট বাতিলের সঙ্গে প্রধান নির্বাচকের মেয়াদ শেষ হওয়ার কোনো সম্পর্ক নেই। দেশে “এ” দলের খেলা চলছে। বিসিবি চাইছে তিনি এই খেলার দিকে চোখ রাখুন। তবে হ্যাঁ, নির্বাচকদের পারফরম্যান্স নিয়ে এই বোর্ড সভায় আলোচনা হবে। তাঁদের মেয়াদ বাড়বে কি বাড়বে না, সেটির সিদ্ধান্ত বোর্ড সভাতেই চূড়ান্ত হবে। তার আগে কিছু বলার উপায় নেই।’
দুই নির্বাচক অবশ্য এ নিয়ে কোনো কথা বলতে চাননি। তবে এই নির্বাচক প্যানেলের শেষের বাঁশি যে বেজে গেছে, সেটি তাঁরাও বোধ হয় অনুধাবন করতে পারছেন। তবে আবারও জাতীয় দলের নির্বাচক প্যানেলে থাকার ইচ্ছা প্রকাশ করেন বর্তমান নির্বাচক মিনহাজুল আবেদিন নান্নু।
সাংবাদিকদের জানান, সাফল্যের দিক থেকে তিনি এগিয়ে আর তাই তিনি নির্বাচক পদে নিজেকে সফল হিসেবে দাবী করেন এবং প্রধান নির্বাচক পদে কন্টিনিউ করতে চান বলে আশা ব্যাক্ত করেন।
উল্লেখ্য, ২০১৬ সালে প্রধান নির্বাচকের পদ থেকে অজ্ঞত কারণে সরে দাঁড়ান ফারুক আহমেদ। সে সময় তার জায়গায় দায়িত্ব পান নান্নু। সহযোগী হিসেবে পান সাবেক অধিানয়ন হাবিবুল বাশার সুমন। দুই জনই প্রায় অর্ধ যুগ এই পদে কাজ করেছেন।