সরকারের মনোনয়নে ২০১২ সালে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) সভাপতি হন নাজমুল হাসান পাপন। আর তখন থেকেই তার একটাই চ্যালেঞ্জ সেটা হলো, ‘সীমিত পরিসরে বাংলাদেশ ভালো, মনোযোগ দেওয়া প্রয়োজন টেস্টে।’
তবে নতুন খবর হচ্ছে, বিগত দশ বছর পেরিয়ে নাজমুল হাসান পাপন সেই একই মঞ্চে দাঁড়িয়ে আবারও শোনালেন পুরোনো সেই গান, ‘টেস্টে উন্নতি করার জন্য যা যা করা দরকার আমরা পরিকল্পনা করেছি এবং সামনে দেখতে পাবেন, আমরা কী কী করেছি।’
আরও পড়ুন: জয়ের রেশ কাটার আগেই বড় দুঃসংবাদ পেল মেসির আর্জেন্টিনা
একই প্রতিশ্রুতিতেই পেরিয়ে যাচ্ছে তার ৩ মেয়াদ। কিন্তু এখনও পর্যন্ত তেমন কোনো পরিবর্তন ঘটেনি বাংলাদেশের টেস্টে। সাময়িক কিছু সাফল্য আসলেও এখনো পর্যন্ত দীর্ঘমেয়াদে কোনো সুফল পায়নি বাংলাদেশ।
শ্রীলঙ্কা সিরিজে চরম ব্যর্থতার পর অধিনায়কত্ব থেকে সরে দাঁড়িয়েছেন মুমিনুল হক। তার জায়গায় বসেছেন এর আগে দুইবার টেস্টে অধিনায়কত্ব করা সাকিব আল হাসান।
আরও পড়ুন: ইংল্যান্ড দলের হয়ে মাঠে নামলেন বাংলাদেশি রবিন দাস
সবচেয়ে মজার ব্যাপার হলো, সাকিবের কাছে বোর্ডের প্রত্যাশা আকাশচুম্বী। আর সেটা স্পষ্ট নাজমুল হাসান পাপনের কথাতেই। পাপন বলেন, ‘তিনটি ফরম্যাটের মধ্যে আমরা কেবল ওয়ানডেতে কিছুটা ভালো। যা কিছু সাফল্য, ওয়ানডেতেই। অন্য দুই ফরম্যাটে ভালো নই। শুধু টেস্টে নয়, টি-টোয়েন্টিতেও পারফরম্যান্স ভালো নয়। আমরা বলতে পারি না যে টি-টোয়েন্টিতে শক্তিশালী দল। আমরা যেটা করতে চাচ্ছি, পরবর্তী গুরুত্ব দিতে চাচ্ছি টেস্টেই। টেস্টে উন্নতি করার জন্য যা যা করা দরকার আমরা পরিকল্পনা করেছি এবং সামনে দেখতে পাবেন, আমরা কী কী করেছি।’
আরও পড়ুন: এবার পেলের রেকর্ডের আরও কাছে নেইমার
এই কথা নতুন কিছুই না, এর আগে ২০১২ সালে দায়িত্ব গ্রহণের পরও একই কথা বলেছিলেন তিনি,‘আমরা বড় দৈর্ঘ্যের ক্রিকেটে দুর্বল। সংক্ষিপ্ত সংস্করণে আমরা ভালো। বড় দৈর্ঘ্যের ক্রিকেটে আমাদের মনোযোগ দিতে হবে। ক্রিকেটকে দেশজুড়ে আরও জনপ্রিয় করতে হবে আমাদের এবং প্রত্যন্ত অঞ্চল থেকে ক্রিকেটার বের করে আনতে হবে। এটাই আমার সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ।’
বিডি স্পোর্টস নিউজ/জেএন