অনুর্ধ ১৯ ক্রিকেট দল এখনো নিউজিল্যান্ডে থাকলেও টেস্ট দলে ডাক পাওয়া নাঈম হাসান এখন চট্টগ্রামে। যদিও যুব বিশ্বকাপের কোয়ার্টার ফাইনালে ভারতের কাছে হেরেছে তার দল কিন্তু নিজের পারফর্ম্যান্সের কারণে জায়গা করে নিলেন শ্রীলংকার বিপক্ষে টেস্ট স্কোয়াডে। গতকাল চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে তরুণ এই অফ স্পিনার মুখোমুখি হয়েছিলেন সংবাদ মাধ্যমের। বললেন, হঠাৎ করে টেস্ট দলে ডাক পাওয়াটা তার নিজের কাছে ছিল খুবই অপ্রত্যাশিত।
প্রশ্ন : যুব বিশ্বকাপ থেকে টেস্ট দলে চলে আসার ভ্রমণটা কেমন হলো?
নাঈম হাসান : খুবই ভালো গেল। ভ্রমণটাও ভালো লাগল। ম্যাচ শেষে (ভারতের বিপক্ষে) জানলাম টেস্ট দলে ডাক পেয়েছি। দেশে ফেরার পথেও তাই ভালোলাগা কাজ করছিল। ওই ম্যাচের দলের ম্যানেজারের কাছ থেকে প্রথম খবরটি পাই।
প্রশ্ন : খবর পাওয়ার পর তো আপনার মিশ্র প্রতিক্রিয়াই হওয়ার কথা। এক দিকে দলের যুব বিশ্বকাপের সেমিফাইনালে যেতে না পারার বেদনা। আরেক দিকে নিজেরও টেস্ট দলে সুযোগ পাওয়ার আনন্দ।
নাঈম : ঠিক তাই। ম্যাচ হারার পর মনটা ভীষণ খারাপ ছিল। এই খবর পাওয়ার পর মনটা ভালোও হয়ে যায়। সতীর্থরা আমাকে দেশে ফিরে ভালো করার বিশ্বাস জুগিয়েছে। তবে সত্যি বললে, এ রকম কিছুর আশা আমি করিইনি।
প্রশ্ন : তাহলে এ রকম সুযোগ কবে আসবে বলে আশা করেছিলেন?
নাঈম : আমি তো ভেবেছিলাম অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপ খেলে আসার পর সুযোগ আসতে পারে। যেমন এসেছিল মিরাজ ভাইয়ের (২০১৬-র জানুয়ারি-ফেব্রুয়ারীতে যুব বিশ্বকাপ খেলেন মেহেদী হাসান মিরাজ, টেস্ট অভিষেক হয় অক্টোবরে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে)। তাঁর মতো বিশ্বকাপ খেলার পরে ডাক পাব ভেবেছিলাম। কিন্তু আগেই পেয়ে গেলাম, এত আগে পাব ভাবিনি।
প্রশ্ন : খেলার সুযোগ পেলে কী করতে চান?
নাঈম : চেষ্টা করব ভালো জায়গায় বোলিং করে যাওয়ার। আর টেস্ট তো ধৈর্যের খেলা।
প্রশ্ন : এর আগে অস্ট্রেলিয়া সিরিজের অনুশীলন শিবিরে ছিলেন। তখন আর এখন ড্রেসিংরুমে থাকার অনুভূতি কি আলাদা?
নাঈম : অবশ্যই আলাদা। তখন তো শুধু অনুশীলন শিবিরে ছিলাম। আর এখন দলেই আছি। তখন কেউ অভিনন্দন জানায়নি, এখন জানাচ্ছে।
প্রশ্ন : ক্রিকেট তো শুরু করেছিলেন পেসার হিসেবে। পরে স্পিনার হলেন কিভাবে?
নাঈম : হ্যাঁ, ক্রিকেট খেলা পেসার হিসেবেই শুরু করেছিলাম। তখন আমার উচ্চতাও অত বেশি ছিল না। তাই একাডেমির বড় ভাইরা বললেন স্পিনার হতে। পরে কোচের সঙ্গে কথা বলে স্পিনার হয়ে যাই। আমার কোচ মোমিন ভাইও মূলত স্পিনারই ছিলেন।