সম্প্রতি আর্জেন্টাইন ফুটবলের প্রাণ ভ্রমরা বিশ্বসেরা ফুটবলার লিওনেল মেসি দক্ষিণ আমেরিকার ফুটবল নিয়ন্ত্রক সংস্থা কনমেবলের বিপক্ষে কিছু কথা বলে বেশ বড়সড় ঝামেলায় পড়ছেন। শোনা যাচ্ছে, কনমেবল মেসিকে দুই বছরের জন্য ফুটবল থেকে নিষিদ্ধ করতে পারে।
বিশ্বের সেরা ফুটবলারদের মধ্যে একজন হওয়া সত্ত্বেও দেশের হয়ে একটিও শিরোপা না জিততে পারা মেসি সম্প্রতি ব্রাজিলের বিরুদ্ধে সেমিফাইনালে হেরে দক্ষিণ আমেরিকার ফুটবল নিয়ন্ত্রক সংস্থা কনমেবলের উপর রাগ ঝাড়েন।
নিজের স্বভাব বিরুদ্ধ হলেও ম্যাচ হেরে ব্রাজিলের বিরুদ্ধে দুর্নীতি করে কোপার ফাইনালে ওঠার অভিযোগ তোলেন তিনি। আর তার অভিযোগের আঙ্গুল ছিল সরাসরি কনমেবলের দিকে। কিন্তু মেসির কথাগুলো ভালোভাবে নেয়নি কনমেবল। শোনা যাচ্ছে, মেসিকে বড় ধরণের শাস্তি দেওয়ার কথা ভাবছে তারা।
কনমেবলের আচরণবিধিতে স্পষ্ট করে উল্লেখ করা আছে, তাদের কোনো কর্মকর্তাকে অসম্মান করে কোনো কথা বলা যাবে না। সর্বোচ্চ দুই বছরের নিষেধাজ্ঞা হতে পারে এই নিয়মভঙ্গের শাস্তি। আর এই প্রতিষ্ঠান যদি মেসিকে দুই বছরের শাস্তি দিয়েই দেয় তাহলে আগামী বছর আর্জেন্টিনা ও কলম্বিয়ায় অনুষ্ঠিত হতে যাওয়া কোপা আমেরিকায় অংশ নিতে পারবেনা লিও। এমনকি পারবেননা ২০২২ কাতার বিশ্বকাপের বাছাইপর্বেও অংশ নিতে।
মেসির বক্তব্যের বিপরীতে কনমেবলের দেয়া বিবৃতি দেখেই স্পষ্ট বোঝা যাচ্ছে মেসির উপর তাদের নিষেধাজ্ঞার খাড়া প্রায় আসন্ন। বিবৃতিতে প্রতিষ্ঠানটি বলে, ‘এভাবে দোষারোপ করার অর্থ আপনি কোপা আমেরিকা প্রতিযোগিতা, প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণকারী সকল খেলোয়াড়, কনমেবলের সঙ্গে জড়িত শত শত কর্মকর্তাকে অসম্মান করছেন। এই কনমেবল ক্লান্তিহীন ভাবে দক্ষিণ আমেরিকার ফুটবলে পেশাদারি, স্বচ্ছতা ও উন্নতি আনার জন্য কাজ করে যাচ্ছে।’
ব্রাজিলের কাছে সেমিফাইনালে হেরে কনমেবলকে উদ্দেশ্য করে তিনি দাবি করেছিলেন, কনমেবল ব্রাজিলের হাতে শিরোপা তুলে দেওয়ার জন্য নিজেদের সবরকম চেষ্টাই করছে এবং আগের ম্যাচে এসব সত্যি তুলে ধরেছিলেন বলেই তাকে পরের ম্যাচেই কোনো ভুল না করার পরও লাল কার্ড দেখানো হয়েছে। ব্রাজিলের বিপক্ষের ম্যাচের পরে মেসি বলেন, ‘হ্যাঁ, দুর্ভাগ্যজনকভাবে সেটাই হয়েছে। আপনি সৎ হতে পারবেন না, আবার কীভাবে কী করা উচিত সেটাও বলতে পারবেন না! কিন্তু আমি সব সময় নির্বিকার চিত্তে সত্য বলে যাব, সৎ থাকব।’
এখন দেখার বিষয় হলো কনমেবল মেসির বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নেয় কিনা! তবে আশংকা যদি সত্যি হয়, তবে আন্তর্জাতিক ফুটবল বিশ্ব হারিয়ে ফেলতে পারে তার হীরের টুকরোটিকে।