বাংলাদেশ তার ৫০ ওভারের ক্রিকেট ইতিহাসে (লিস্ট ‘এ’ ও আন্তর্জাতিক ওডিআই মিলে) এই প্রথম কোনো ডাবল সেঞ্চুরির কৃতিত্ব দেখলো।
ডিপিএলের সুপার লিগে ব্যাক টু ব্যাক সেঞ্চুরি করলেন সৌম্য সরকার। শেখ জামাল ধানমন্ডি ক্লাবের বিপক্ষে অলিখিত ফাইনালে দুইশ ছাড়ালেন তিনি। আজ প্রথমে ব্যাট করে তানভীরের সেঞ্চুরিতে ৩১৭ রানের পুঁজি পায় শেখ জামাল ধানমন্ডি ক্লাব। ৩১৮ রানের লক্ষ্যে ওপেনার জহিরুল ইসলামকে নিয়ে ব্যাট করতে নামেন গত ম্যাচের সেঞ্চুরিয়ান সৌম্য সরকার।
আজও শুরু থেকেই আক্রমনাত্মক হয়ে ব্যাটিং করেন সৌম্য সরকার। ধানমন্ডির বোলারদের বাউন্ডারি আর ওভার বাউন্ডারি ছাড়া করে নিজের স্বভাবসুলভ ইনিংস উপহার দেন সৌম্য সরকার। আগের ম্যাচে লিজেন্ডস অব রূপগঞ্জের বিপক্ষে ৭১ বলে সেঞ্চুরি করার পর ৭৯ বলে ১০৬ রানে আউট হয়ে সাজঘরে ফিরে গিয়েছিলেন।
আজ শেখ জামাল ধানমন্ডি ক্লাবের বিপক্ষে ৭৮ বলে করলেন লিস্ট ‘এ’ ক্যারিয়ারের ষষ্ঠ সেঞ্চুরি। তবে সৌম্য সরকার আজ সেঞ্চুরি করেই থামেননি। সেটিকে ডাবল সেঞ্চুরিতে রূপ দিয়েছেন মাত্র ১৪৯ বলে। ১৪টি বাউন্ডারি এবং ১৬টি ছক্কা মেরে সৌম্য ঐতিহাসিক এই মাইলফলকে পৌঁছান প্রথম বাংলাদেশী ক্রিকেটার হিসেবে। ছক্কা মেরে সেঞ্চুরি তুলে নেয়ার পর সৌম্য ডাবল সেঞ্চুরি পূরণ করলেন বাউন্ডারি মেরে। শেষ পর্যন্ত ১৫৩ বলে ১৩৫.৯৪ স্ট্রাইকরেটে ২০৮ রান করে অপরাজিত থাকেন সৌম্য।
গত ম্যাচ অর্থাৎ রূপগঞ্জের বিপক্ষে ম্যাচের আগ পর্যন্ত প্রথম পর্ব আর সুপার লিগ মিলে ১১ ম্যাচে মাত্র ১৯৭ রান তুলেছিলেন তিনি। কিন্তু পরবর্তী দুই ম্যাচ মিলিয়ে এই সিরিজে নিজের স্কোরবোর্ডে তিনি ৫১১ রানের সংগ্রহ ঝুলালেন।
গত ম্যাচ শেষে সৌম্যের কন্ঠে খানিক অতৃপ্তি-অনুশোচনা ছিল, ‘অনেকদিন পর রানে ফিরে এবং সেঞ্চুরি করে ভাল লাগছে। তবে শতরানের পর ইনিংসটি বড় হয়নি, শেষ করে আসতে পারিনি- তাই কিছুটা আফসোস থেকেই গেছে। এ রকম অবস্থায় আসলে ইনিংসটাকে বড় করা উচিৎ।’ আজকের ইনিংসের পরে সৌম্যের আত্মতৃপ্তি হয়তো পুরোদমেই ফিরে আসবে।
শেখ জামালের ছুড়ে দেয়া ৩১৭ রানের বিশাল টার্গেট পেরোতে জহুরুল ইসলামকে নিয়ে ৩১২ রানের অবিশ্বাস্য জুটি গড়েন সৌম্য। অমি ১২৮ বলে ১০০ রান করে আউট হয়ে গেলেও সৌম্য সরকার অপরাজিত থাকেন। শেষবধি তাইজুল ইসলামকে ৪৮তম ওভারের প্রথম বলে ছক্কা মেরে চ্যাম্পিয়ন করে দিলেন আবাহনী লিমিটেডকে ।