ঢাকা টেস্টের আগে সংবাদ সম্মেলনে এসে শাহীন আফ্রিদি বলেন বাংলাদেশে খেলার অভিজ্ঞতা। যখন কোনো ব্যাটসম্যান সেট হয়ে যান, তখন তাকে আউট করতে শাহীন আফ্রিদি ও হাসান আলী পরিকল্পনা করে বোলিং করেন। তাতে সাফল্যও পান।
আফ্রিদি বলেন, ‘টেস্ট ক্রিকেটে টানা দুই বলে উইকেট নেওয়া কখনোই সহজ নয়। সত্যিই কঠিন। টেস্ট ক্রিকেট এটির নাম, কারণ এখানে প্রতিটি সেশন, প্রতিটি মিনিট কঠিন ক্রিকেট হয় ও গুরুত্বপূর্ণ। আমি ফুল লেংথে বল করার চেষ্টা করি এবং উপভোগ করি। বাংলাদেশের ব্যাটসম্যানদের উইকেট নেওয়া সহজ নয়। ওদের বেশ ক`জন ভালো ক্রিকেটার আছে। আমি শতভাগ দেওয়ার চেষ্টা করি।’
তিনি বলেন, ‘এশিয়ার সব উইকেটই আসলে কম-বেশি ধীরগতির। লোকে বলে যে স্পিনারদের সহায়তা বেশি মেলে। তবে শক্তপোক্ত হলে ও গায়ে জোর থাকলে এখানেও কার্যকর হওয়া যায়। জুটি বেঁধে বল করতে হয়। হাসানেরও এখানে কৃতিত্ব আছে এবং হাসানের সঙ্গে যখনই আমি বোলিং করি, আমরা নিজেদের মধ্যে ঠিক করে নেই যে, কে কখন আক্রমণ করবে, কে রান আটকে রাখবে।
হাসানেরও তাই ভূমিকা আছে। আমার কাছে ব্যাপারটি হলো, ৩ ওভারের স্পেল হোক বা ৫ ওভারের, আগ্রাসী বোলিং করতে চাই। এভাবেই সাফল্য ধরা দিচ্ছে। দ্বিতীয় টেস্টেও আমরা আগের টেস্টের মতো পারফরম্যান্স করতে চাই।’
তিনি আরও বলেন, এ বছর তারা দুজন মিলে উইকেট নিয়েছেন ৮৩টি, ‘হাসানের সঙ্গে বোলিং দারুণ উপভোগ করি। এবছর ৩৯ উইকেট ওর, আমার ৪৪টি। আমরা জুটি বেধে বোলিং করি এবং নিজেদের মধ্যে পরিকল্পনা করি, কোনো ব্যাটসম্যান ভালো খেলতে থাকলে কিভাবে তাকে আটকে রাখা যায় বা দ্বিধায় ফেলা যায়। হাসানের সঙ্গে বোলিং করতে তাই ভালো লাগে। কারণ সে লড়াকু, লড়াই চালিয়ে যায়।’