বিরাট কোহলির ভারত এখন পর্যন্ত ২০১৯ বিশ্বকাপের একমাত্র অপরাজিত দল। বিরাটদের সামনে এখনো রয়েছে চারটি ম্যাচ। বিপক্ষ দলে রয়েছে উইন্ডিজ, ইংল্যান্ড, বাংলাদেশ, শ্রীলংকা। এই চার দলের যে কোনো দুটিতে জিতলেই ভারতের সেমিফাইনাল নিশ্চিত।
অন্যদিকে চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী পাকিস্তানের অবস্থান সম্পূর্ণই উল্টো। গতকাল বাবরের সেঞ্চুরিতে নিউজিল্যান্ডকে হারিয়ে দিয়ে সেমির আশা টিকিয়ে রেখেছে পাকিস্তান। তারা ৭ ম্যাচ খেলে বাংলাদেশের সমান ৭ পয়েন্ট নিয়ে পয়েন্ট তালিকার ষষ্ঠ স্থানে বাংলাদেশের ঠিক পেছনে অবস্থান করছে।
পাকিস্তান পরের ম্যাচে আফগানিস্তানের সাথে জিতে গেলে তাদের পয়েন্ট হবে ৯। সেক্ষেত্রে বাংলাদেশ পাকিস্তান ম্যাচটি হারলেও সেমিফাইনালে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকবে তাদের। সেক্ষেত্রে বাংলাদেশের সঙ্গে তাদের নিট রান রেট হিসেব করা হবে। আর এমন সমীকরণে পাকিস্তানের সেমিফাইনাল খেলা অনেকটাই বাংলাদেশের পরবর্তী ম্যাচ দুটির রেজাল্টের উপর নির্ভর করছে। আর টাইগারদের পরের দুই ম্যাচ যথাক্রমে ভারত ও পাকিস্তানের বিপক্ষে। এই ম্যাচ দুটি জিতলে পাকিস্তানকে টপকে সেমিতে চলে যেতে পারে বাংলাদেশ।
পাকিস্তানের সাবেক ক্রিকেটার ১৯৯৩ থেকে ১৯৯৬ সাল পর্যন্ত ১৯ টেস্ট ও ৫০ ওয়ানডে খেলা বাসিত আলি মনে করছেন পাকিস্তানের সেমিতে যাওয়া আটকাতে ভারত ইচ্ছে করেই বাংলাদেশের কাছে হেরে যাবে।
পাকিস্তানের টিভি চ্যানেল এয়ারি নিউজের এক অনুষ্ঠানে বাসিত বলেন, ‘ভারত এখনও পর্যন্ত মাত্র ৫টি ম্যাচ খেলেছে। তারা কখনোই চাইবে না পাকিস্তান সেমিফাইনাল খেলুক। ভারতের দুই ম্যাচ রয়েছে বাংলাদেশ ও শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে (এ দুই দলও রয়েছে সেমির দৌড়ে)। আফগানিস্তানের বিপক্ষে ভারত কেমন খেলেছে, কীভাবে খেলেছে তা তো সবাই-ই দেখেছি।’
এ সময় অনুষ্ঠানের উপস্থাপক বাসিত আলিকে জিজ্ঞেস করেন, ‘তবে কি আপনি বলতে চাচ্ছেন, ভারত ইচ্ছে করে বাংলাদেশ ও শ্রীলঙ্কাকে ম্যাচ ছেড়ে দেবে?’ এমন প্রশ্নের জবাবে সরাসরি কিছু বলেননি বাসিত।
বাসিত আরও বলেন, ‘মানুষ তো বলবে না যে ভারত ইচ্ছে করে হেরে গিয়েছে। কারণ তারা তো সত্য স্বীকার করতে ভয় পায়। দেখবেন ওরা (ভারত) এমন ম্যাচ খেলবে যে কেউ বুঝতেই পারবো না যে ম্যাচে কী হচ্ছে। আফগানিস্তানের বিপক্ষে ম্যাচে যেমনটা দেখা গিয়েছে…।’