ফিল্ডিং বিষয়টায় বাংলাদেশ যে বরাবরই খুব ভালো ছিল তা কিন্তু নয়। ব্যাটিং বোলিংয়ে ভালো করা খারাপ করার বিষয়গুলোই বেশি উঠে আসতো খেলা শেষে। তবে ইংল্যান্ড বিশ্বকাপে বাংলাদেশের ক্রিকেটারদের ফিল্ডিং দেখে মনে হয়েছে তারা যেন খেই হারিয়ে ফেলেছে। কোনো না কোনো ভুল করছেন সবকজন ক্রিকেটারই।
এমনকি যে তামিম মাঠে অসাধারণ সব সেভ করে আর ক্যাচ ধরে তাক লাগিয়ে দিতেন ভারতের বিপক্ষে ম্যাচে তার সহজ ক্যাচ ছাড়ায় রোহিত শর্মা সেঞ্চুরি করেন। নইলে হয়তো অন্যরকম হতে পারতো সে ম্যাচের ফলাফল। অথবা মুশফিকুর রাহিম যদি কেন উইলিয়ামসনের রান আউটটা ঠিক মতো করতে পারতেন তাহলে হয়তো অন্যরকম হতো নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে ম্যাচের ফলাফলও।
বিশ্বকাপে বাংলাদেশের ক্রিকেটারদের ফিল্ডিংয়ে এমন হযবরল অবস্থা দেখে বিসিবি প্রধান নাজমুল হাসান পাপন ফিল্ডিং কোচ রায়ান কুকের সাথে এই ব্যাপারে আলাপ করেন। তখন কুক জানান বাংলাদেশের ক্রিকেটাররা নাকি ফিল্ডিংয়ের বেসিকই জানে না।
সাংবাদিকদের পাপন এ প্রসঙ্গে বলেন, ‘ফিল্ডিং কোচকে আমরা জিজ্ঞেস করেছিলাম যে পারফর্মেন্স এমন হলো কেন। সে অনেক জিনিস দেখিয়েছে, অনেক কথা বলেছে একটা জিনিস আমাদের মনে লেগেছে, সে বলেছে দেখো জাতীয় দলে যখন আসে তখন আমি ফিল্ডিংটাকে উন্নত করাতে পারি। কিন্তু বেসিকতো শিখাতে পারবো না। ওরাতো বেসিকই জানে না।’
ফিল্ডিং কোচ জানিয়েছেন জাতীয় দলের ক্রিকেটারদের ফিল্ডিংয়ে উন্নতি করানো সম্ভব কিন্তু বেসিক শেখানো সম্ভব না। কারণ বেসিক শিখতে হয় ছোটকাল থেকে। তার মতে ক্রিকেটারদের এইচপি, অনূর্ধ্ব ১৯ , ‘এ’ দল থেকেই বেসিক শেখানো উচিত।
বিসিবি সভাপতি জানিয়েছেন বাংলাদেশের তরুণ ক্রিকেটারদের বেসিক শিখিয়েই গড়ে তোলা হচ্ছে। তিনি মনে করেন আগামী দুই বছরের মধ্যে যে দলটি আসছে তারা ফিল্ডিংয়ে পূর্ণতা লাভ করেই আসছে।
বিসিবি সভাপতি নাজমুল হাসান পাপন বলেন, ‘এই বেসিক শিখতে হবে ওদেরকে আরো আগেই। এইচপি, অনূর্ধ্ব ১৯ , এ দল সেখান থেকে আমাদের বেসিক শিখানো শুরু করতে হবে। ফিল্ডিংয়ে বেসিক যেন আগে থেকে শুরু হয় এবং ফিটনেস নিয়ে আমরা কাজ করছি। আশা করি আগামী ২ বছরের মধ্যে আমরা ভালো একটি দল পাবো।’