টনটনে আজ মহাগুরুত্বপূর্ণ ম্যাচে বাংলাদেশের বিপক্ষে টসে হেরে তিনশোর্ধ রানের লক্ষ্য রাখল ওয়েস্ট ইন্ডিজ। নির্ধারিত পঞ্চাশ ওভার শেষে ৮ উইকেট হারিয়ে ৩২১ রান তুলেছে ক্যারিবিয়ানরা। ম্যাচ জিতলে বাংলাদেশের প্রয়োজন ৩২২ রান।
এদিন টসে জিতে ক্যারিবিয়ানদের ব্যাটিংয়ে পাঠিয়ে শুরুতেই শুভ সূচনা করে বাংলাদেশ। ১৩ বল ব্যাট করার পরও গেইলকে শূন্য হাতে ফেরান সাইফউদ্দীন। শুরুতে গেইলকে হারিয়েও দ্বিতীয় উইকেটে চাপ কাটিয়ে লুইস ও শাই হোপ শতাধিক রানের জুটি গড়েন।
দলীয় ১২২ রানের সময় ৬৭ রান করা লুইসকে ফিরিয়ে বাংলাদেশ শিবিরে স্বস্তি ফিরিয়ে আনেন সাকিব। লুইসের বিদায়ের পর পুরানকে নিয়ে জুটি গড়েন হোপ।
দলীয় ১৫৯ রানে পুরানকে নিজের দ্বিতীয় শিকার বানান সাকিব। এ সময় ৭৫ বল থেকে হাফ সেঞ্চুরি তুলে নিয়ে ক্যারিবিয়ান ইনিংসের হাল ধরে রাখেন হোপ।
হোপ ও হেটমায়ার ৪৩ বল থেকে ৮৩ রানের জুটি গড়ে ক্যারিবিয়ানদের বড় রানের পুজির দিকে নিয়ে যান। এই জুটিতে বেশি ভয়ংকর ছিলেন হেটমায়রা। ২৫ বল থেকে নিজের অর্ধশতক পূরণ করেন তিনি।
তবে এরপরই হেটমায়ার ও রাসেলকে একই ওভারে প্যাভিলনে ফেরত পাঠান মুস্তাফিজ। হেটমায়ার অর্ধশতক নিয়ে আর রাসেল ২ বল খেলে রানের খাতা খোলার আগেই আউট হন মুস্তাফিজের বলে।
জোড়া উইকেটে হারানোর পর ক্রিজে নামা ক্যারিবিয়ান অধিনায়ক হোল্ডার ভয়ংকর হয়ে ওঠেন। ১৫ বল থেকে ৪টি বাউন্ডারি ও ২টি ছক্কায় ৩৩ রান করেন তিনি। তবে হোল্ডার সাইফউদ্দিনের বলে পরাস্থ হলে স্বস্থি ফেরে বাংলাদেশ শিবিরে।
হোল্ডারকে হারিয়ে ক্যারিবিয়ানদের রানে ভাটা পড়ে। এ সময় তাদের ভরসা হয়ে ক্রিজে থাকা হোপ ৪৭তম ওভারে ফিরলে সপ্তম উইকেট হারায় উইন্ডিজ। হোপ ১২১ বল থেকে ৪টি চার ও ১টি ছক্কায় ৯৪ রানে আউট হন।
শেষদিকে ড্যারেন ব্রাভো ১৪ বল থেকে ১৯ রান করে ইনিংসের শেষ বলে সাইফউদ্দিনের বলে আউট হলে ৩২১ রানে থামে উইন্ডিজ।
বাংলাদশের হয়ে সাইফউদ্দিন ৭২ এবং মুস্তাফিজ ৫৯ রান দিয়ে ৩টি করে উইকেট নেন। পরিসংখ্যান বলছে মুস্তফিজ যখনই তিনটি করে উইকেট নিয়েছে তখন বাংলাদেশ ম্যাচ জিতেছে। সাকিব ৮ ওভারে ৫৪ রান দিয়ে নেন ২টি উইকেট।