শুক্রবার আফগানিস্তানের বিপক্ষে ম্যাচ দিয়ে ১৯ বছরের আন্তর্জাতিক ক্রিকেট ক্যারিয়ারের পর অবসরে গেছেন হ্যামিলটন মাসাকাদজা। ৪২ বলে ৭১ রানের ইনিংস খেলের দলকে জেতানোর মোক্ষম ভূমিকা রাখেন তিনি।
৩৬ বছর বয়সী মাসাকাদজা যদিও পরিকল্পনা করেছিলে ২০২০ সালে অস্ট্রেলিয়া অনুষ্ঠেয় টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ আসর দিয়ে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটের ইতি টানবেন। তবে আইসিসি নিষেধাজ্ঞায় পড়ায় আগে ভাগেই অবসরে নিতে হলো তাকে। শুক্রবার ম্যাচের পর সংবাদ সম্মেলনে মাসাকাদজা জানালেন বাংলাদেশ তার হৃদয়ের বড় একটি জায়গাজুড়ে অবস্থান করে।
মাসাকাদজা বলেন, ‘বাংলাদেশ আমার কাছে দ্বিতীয় বাড়ির মতো, হৃদয়ের বিশেষ একটি জায়গাজুড়ে এর অবস্থান। আমি এখানে অনেক মানুষের সঙ্গে মিশেছি, অনেক বন্ধু বানিয়েছি। এখান থেকে আমি অনেক জিনিস শিখেছি। ক্রিকেট খেলাটা সম্পর্কে বাংলাদেশের মানুষের উন্মাদনা প্রশংসনীয়। এ জিনিসটা খুবই উপভোগ করেছি আমি। ক্লাব ক্রিকেট খেলতে এলেও মানুষ আমাকে চিনতে পারে। আমি একা কোথাও হাঁটতেও পারতাম না, কারণ চারপাশে ভক্ত-সমর্থকরা কথা বলতে চাইত, ছবি তুলতে চাইত। এটা সত্যিই দারুণ অভিজ্ঞতা। বাংলাদেশে খেলতে আসা, এখানের সংস্কৃতি, মানুষের সংস্পর্শে আসতে পারা সত্যিই আমার জন্য আশীর্বাদস্বরুপ।’
খেলার সুবাদে একাধিকবার বাংলাদেশে এসেছেন মাসাকাদজা। তাই স্মৃতির একটি বড় অংশ জেুড়ে থাকবে বাংলাদেশ। তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশে আমার অনেক ভালো স্মৃতি রয়েছে। ঢাকা লিগে খেলার মাধ্যমে অনেক ক্রিকেটারের সঙ্গে কাছ থেকে পরিচিত হতে পারাটা দারুণ একটা স্মৃতি। এর মধ্যে সবকিছুকে ছাড়িয়ে যায় ক্লাব ক্রিকেটে মাশরাফির সঙ্গে খেলার (২০১৬ সালের ঢাকা লিগে, কলাবাগানের হয়ে) অভিজ্ঞতা। আমার মনে হয় অনেক মানুষই তার গল্পটা জানে না, অনেকেরই ধারণা নেই মাশরাফি কিসের মধ্য দিয়ে গেছে। ’
ক্রিকেটের উপর মাশরাফির আত্মনিবেদন দেখে তাকে বই লেখার পরামর্শ দিয়েছিলেন মাসাকাদজা। তিনি বলেন. ‘আমার মনে আছে, একবার মাশরাফির সঙ্গে কথা বলার সময় আমি তাকে পরামর্শ দিচ্ছিলাম, সে যেনো নিজের জীবন ও অভিজ্ঞতা নিয়ে একটা বই লিখে ফেলে। কারণ এটা খুবই অনুপ্রেরণাদায়ক হবে। আমার মনে হয় মানুষ জানে না সে সামগ্রিকভাবে বাংলাদেশ ক্রিকেটকে কতটা দিয়েছে। তাই তার সঙ্গে ঢাকা লিগে এক দলের হয়ে খেলাটা সত্যিই দারুণ সময় ছিলো।’ৎ
বাংলাদেশ সুখ স্মৃতি সঙ্গে তোতো স্মৃতি কোনটা এমন প্রশ্নের উত্তরে মাসাকাদজা বলেন,‘বাংলাদেশে তেতো স্মৃতির কথা বললে আসবে, প্রথম দল হিসেবে এখানে টেস্ট সিরিজ হেরে যাওয়ার (২০০৫ সালে) ঘটনা। বাংলাদেশ তখনও দল হিসেবে ধুঁকছিল, আমরা তখন সিরিজ হেরে গিয়েছিলাম।’