বিপিএলে বুধবার রাতের খেলায় মাশরাফির রংপুরের বিপক্ষে লিটন ও ওয়ার্নারের ঝড়ো ফিফটিতে রানের পাহাড় গড়েছে সিলেট সিক্সার্স। নির্ধারীত ২০ ওভার শেষে ৫ উইকেট হারিয়ে ১৮৭ রান তুলেছে তারা। সিলেটের পুরো ইনিংটি ২০টি চার ও ৫ঠি ছক্কায় সাজানো।
এদিন টসে হেরে ব্যাটিংয়ে নামে সিলেট। তাদের হয়ে উদবোধনী জুটিতে লিটনের সঙ্গে ক্রিজে নামেন সাব্বির রহমান। এই জুটিতে শুরু থেকেই রংপুরের বোলার মাশরাফি ও গাজীর উপর চড়াও হন লিটন দাস। তার আক্রমণাত্ব ব্যাটিং-এ দিশেহারা ছিল রংপুর শিবির। ক্রিজের অপর প্রান্তে থাকা সাব্বিরও এ সময় লিটনকে যোগ্য সঙ্গ দিতে থাকেন। দলীয় ৭৩ রানের সময় এই জুটিতে প্রতিরোধ গড়েন বেনি হাওয়েল। তিনি ২০ বল থেকে ২০ রান করা সাব্বির রহমানকে ফিরিয়ে দেন।
দ্বিতীয় উইকেটে লিটনের সঙ্গী হন ওয়ার্নার। লিটনের সঙ্গে এদিন তার ব্যাটেও দেখা যায় চার-ছক্কার ফুলঝুড়ি। এসময় ২৯ বল থেকে চলতি আসরের প্রথম ফিফটি তুলে নেন লিটন। ৫৬ রান আসে ওয়ার্নার ও লিটন জুটিতে।
দলীয় ১২৯ রানে ৪৩ বল থেকে ৭০ রান করা লিটন রান আউট হলে স্বস্তি ফিরে আসে রংপুর শিবিরে। ৯টি চার ও ১টি ছক্কা হাঁকান লিটন তার ইনিংসে।
লিটন ফিরে গেলেও বিধ্বংসী ব্যাটিং বন্ধ করেননি ওয়ার্নার। তৃতীয় উইকেটে তাকে যোগ্য সঙ্গ দেন নিকোলাস পুরান। ১৮তম ওভারের শেষ বলে ১৬ বল থেকে ২৬ রান করে পুরান ফিরে গেলে ম্যাচ শেষ করে আসেন ওয়ার্নার। ৩৫ বল থেকে ৬১ রান নিয়ে তিনি অপরাজিত থাকেন। তার ইনিংসে ৬টি চার ও ২টি ছক্কার মার ছিল। এতে নির্ধারীত ওভার শেষে ৫ উইকেট হারিয়ে ১৮৭ রান তোলে সিলেট।
রংপুরের হয়ে এদির খরুচে ছিলেন মাশরাফি, সোহাগ গাজী ও গেইল। মাশরাফি ৩ ওভারে ৪৩, গাজী ৪ ওভারে ৩৮ ও গেইল ৩ ওভারে ৩৫ রান দিয়ে উইকেট শূন্য ছিলেন। ৪ ওভারে ৩১ রান দিয়ে শফিউল নেন ৩টি উইকেট। হাওয়েল ৩ ওভারে ২২ রান দিয়ে নেন ১টি উইকেট।