সাকিব, মিরাজ, তাইজুলদের তালিম দিতে নিউজিল্যান্ডের সাবেক বাঁহাতি স্পিনার ড্যানিয়েল ভেট্রোরির উপর আস্থা রেখেছে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)। তবে এজন্য গুনতে হবে মোটা অঙ্কের টাকা। এর পরিমাণ এতোই বেশি যে তা অতীতের সব রেকর্ডকেই ছাড়িয়ে যাবে। কারণ দিনপ্রতি ২৫০০ ডলারের বিনিময়ে (ট্যাক্স বাদে) চুক্তি হয়েছে এই কিউই’র সাথে।
এর আগে বাংলাদেশের কোচদের মধ্যে সব থেকে বেশি পারিশ্রমিক ছিল লংকান কোচ চন্ডিকা হাথুরুসিংহে। মাসিক ২৭ হাজার ৭২৩ ডলার পারিশ্রমিক পেতেন বিতর্কিত এ কোচ। নিয়মানুয়ায়ী ৩০% আয়করের পর হাথরুর পকেটে উঠতো ১৯ হাজার ৪০৭ ডলার। পারিশ্রমিকের দিক থেকে এর পরেই ছিলেন ইংলিশ কোচ স্টিভ রোডস। ট্যাক্স কেটে নেয়ার পরও রোডসের এ্যাকাউন্টে মাসিক জমা হতো ১৫ হাজার ডলার।
আর টাইগারদের বর্তমান হেড কোচ রাসেল ডমিঙ্গোর মাসিক বেতন ১২ হাজার ইউএস ডলার (আয়কর কাটার পর)। অবশ্য এ প্রোটিয়ার চাহিদাই ছিল কম। বিসিবির সাথে সাক্ষাৎকারে ডমিঙ্গো জানিয়েছিলেন দক্ষিণ আফ্রিকা ক্রিকেট বোর্ডের কাছে থেকে তিনি মাসিক ৮ হাজার ডলার পান।
বিসিবি থেকে তার চাওয়া ছিল পূর্বের থেকে সামান্য বেশি। তাই শেষ পর্যন্ত বনিবনা ও নানান কারণে ডমিঙ্গোকেই রোডসের উত্তরসূরি করে ক্রিকেট বোর্ড।
অন্যান্য সব কোচদের মাসিক বেতনের ভিত্তিতে রাখলেও স্পিন কোচ ভেট্রোরির সাথে চুক্তি হয়েছে দিনভিত্তিক। আগামী মাসের ২০ তারিখ থেকে ২০২০ সালের নভেম্বর পর্যন্ত বছরে ১০০ দিন টাইগার স্পিনারদের তামিল দিবেন ভেট্রোরি। সে হিসেবে দৈনিক ২৫০০ ডলার পেলে তা মাসিক বেতন দাঁড়ায় ৭৫০০০ ডলারে। আর ১০০ দিনে (যদিও হিসেব অনুযায়ী কর্মদিবস এর থেকে আর কয়টা দিন বেশি হবে) সাবেক এ বোলিং অলরাউন্ডারের পেছনে বিসিবিকে খরচ করতে হবে ২ লাখ ৫০ হাজার ইউএস ডলার।
সব হিসেবের পর দেখা যাচ্ছে দলের হেড কোচ ডমিঙ্গোর সারা মাসের বেতন ভেট্রোরির পাঁচ দিনের বেতনের থেকেও কম। ফার্স্ট বোলিং কোচ চার্ল ল্যাঙ্গাভেল্ড সারা মাসে পাবেন ভেট্রোরির তিন দিনের থেকেও কম পারিশ্রমিক। আর এ পর্যন্ত বেশি বেতন পাওয়া হাথুরু এবং রোডসকে ছুঁতে ভেট্রোরির লাগবে যথাক্রমে আট এবং ছয়দিন। আর এ থেকেই পরিষ্কার বুঝা যাচ্ছে পারিশ্রমিকে দিক দিয়ে অন্যান্য কোচদের সাথে কতটা ফারাক এ টাইগার স্পিন কোচের। তবে প্রশ্ন হলো অর্থের ব্যবধানের মতো স্পিন ঘূর্ণিতেও বর্তমান-ভবিষ্যতে মাঝে বিস্তর ফারাক আনতে পারবেন তো ভেট্রোরি?