বিশ্বকাপে এখন পর্যন্ত আটটি ম্যাচে অংশ নিয়েছে বাংলাদেশ দল। তবে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে ম্যাচটি ছাড়া আর কোনো দলের বিপক্ষে বল হাতে আতঙ্ক ছড়াতে পারেনি তারা। তাই বাংলাদেশের বোলিংকে এক কথায় ‘নখদন্তহীন’, শব্দ দিয়ে ব্যাখ্যা করা যায়। পরিসংখ্যানের দিকে তাকালে চিত্রটা আরো পরিস্কার হবে।
মঙ্গলবার ভারত ম্যাচের আগে বিশ্বকাপে বাংলাদেশের বোলাররা ৪২টি উইকেট তুলে নিতে পেরেছে। গতকাল পর্যন্ত বাংলাদেশের পেছনে শুধু শ্রীলঙ্কাই ছিল। গতকাল মোস্তাফিজ (৫) ও সাকিবের (১) সুবাদে আফগানিস্তান ও ওয়েস্ট ইন্ডিজকেও পেছনে ফেলেছে বাংলাদেশ।
এবারের বিশ্বকাপে ওভার প্রতি গড়ে ৬ এর ওপরে রান দিয়েছে দুটি দল। তাঁর একটি ওয়েস্ট ইন্ডিজ আর অপরটি বাংলাদেশ। তবে প্রতি ওভারে প্রতিপক্ষের ঝুলিতে রান যুক্ত করে বাংলাদেশ ওভার প্রতি ৬.১৮ রান দিয়ে তালিকায় শীর্ষে রয়েছে। তাদের পরেই দ্বিতীয় অবস্থানে থাকা ওয়েস্ট ইন্ডিজ ওভারে (৬.০৫) গড়ে রান দিয়েছে।
অন্যদিকে প্রত্যেকটি উইকেট পেতে রান খরচার তালিকায়ও তলানিতে ছিল বাংলাদেশ। প্রতিটি উইকেট তুলে নিতে কমপক্ষে ৪৩.৩০ রান খরচ করছিলেন বাংলাদেশের বোলাররা। গতকাল ভারতের বিপক্ষে পাওয়া ৮ উইকেটে (বোলারদের পাওয়া) সেটা ৪২.৫৪তে নেমে এসেছে। এ ক্ষেত্রেও বাংলাদেশের চেয়ে পিছিয়ে আছে কারা? আফগানিস্তান (৪২.৯৭) ও শ্রীলঙ্কা (৪৩.২৫)।
ভারতকে পেয়ে উইকেটে নেওয়ার নিরিখে সাকিবকে(১১) টপকে গেছেন মোস্তাফিজ(১৫)। কিন্তু ইকোনমি রেট (৬.৫৭) বলে দিচ্ছে বিশ্বকাপে আগের ম্যাচগুলোয় মোস্তাফিজের পারফরম্যান্স কেমন ছিল। ১০ উইকেট পাওয়া সাইফউদ্দিনের ইকোনমি তো আরও হতাশাজনক, ৬.৯৩। দলের মতো পেস আক্রমণের নেতৃত্বও দেওয়ার কথা ছিল মাশরাফির। কিন্তু ৭ ম্যাচে মাত্র ৪৯ ওভার বল করা কিংবা ৩১৫ গড়ে ১ উইকেট পাওয়া অথবা ৬.৪২ ইকোনমিতে রান দেওয়া বলছে, মাশরাফি তার কাজে ব্যর্থ হয়েছেন।
স্পিনারদের মাঝেও এক সাকিব ছাড়া বাকিরা মোটামুটি মানের বোলিং করেছেন। ৫.৩৪ ইকোনমিতে ১১ উইকেট তুলে নিয়ে সাকিবই সবচেয়ে উজ্জ্বল। ৬ ম্যাচে ৫ উইকেট পাওয়া মিরাজের ইকোনমিও ছয়ের নিচে (৫.৪৫)। ৩ উইকেট পাওয়া মোসাদ্দেকেরও তাই (৫.৮৭)। রান আটকে রাখার দিক দিয়ে স্পিনাররা কিছুটা অবদান রাখতে পারলেও মিডল ওভারে উইকেট তুলে নিয়ে প্রতিপক্ষকে বিপদে ফেলতে পারেননি সাকিব ছাড়া অন্য কেউ।