১ম বাংলাদেশি হিসেবে বিশ্বকাপে বাংলাদেশের পক্ষে শতক হাঁকানোর অনবদ্য রেকর্ডটি রয়েছে মাহমুদউল্লাহ রিয়াদের দখলে। তাও আবার একটি নয় পর পর দুই ম্যাচে দুটি শতক। রিয়াদ বাদে অন্য কোনো ক্রিকেটার এখন পর্যন্ত বাংলাদেশের হয়ে আর সেঞ্চুরি মারতে পারেননি। তাই বিশ্বকাপে বাংলাদেশের সেরা ৫ ইনিংসের মধ্যে প্রথম দুটিই মাহমুদউল্লাহর।
মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ ১২৮*- বাংলাদেশী কোনো ব্যাটসম্যানের বিশ্বকাপে সর্বোচ্চ ইনিংস এটিই। ২০১৫ সালে নিউজিল্যান্ডের মাটিতে তাদের বিরুদ্ধেই এই ইনিংসটি খেলেন রিয়াদ। ডানহাতি রিয়াদের ১২৩ বলে অপরাজিত ১২৮ রানের ইনিংসটি ছিল ১২টি চার ও ৩টি ছয়ে সাজানো। মজার ব্যাপার হলো এর আগের ম্যাচেই ইংল্যান্ডের বিপক্ষে বিশ্বকাপে বাংলাদেশের প্রথম সেঞ্চুরিটি করেন মাহমুদউল্লাহ। ইংল্যান্ডের বিপক্ষে ম্যাচটি জিতলেও নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে হ্যামিল্টনে রিয়াদের শতকের দিনে ম্যাচটি হেরে গিয়েছিল বাংলাদেশ।
মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ ১০৩- ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে মহাকাব্যিক এক সেঞ্চুরি করেছিলেন মাহমুদউল্লাহ। বাংলাদেশের ক্রিকেট ইতিহাসে চিরস্মরণীয় হয়ে থাকবে এই ইনিংসটি। কারন বিশ্বকাপে বাংলাদেশের প্রথম সেঞ্চুরি যে এটাই। ধীরগতির ১৩৮ বলে ১০৩ রানের ইনিংসটি ৭ চার ও ২ ছয়ে সাজানো ছিলো। এই ম্যাচে ১৫ রানের জয় পেয়ে প্রথমবারের মতো বিশ্বকাপে কোয়ার্টার ফাইনালে পা রাখে বাংলাদেশ।
তামিম ইকবাল ৯৫- তামিম হতে পারতেন বাংলাদেশকে প্রথম বিশ্বকাপ সেঞ্চুরিয়ান। কিন্তু, মাত্র ৫ রানের আক্ষেপে পুড়তে হয় তাকে। ইংল্যান্ডের বিপক্ষে রিয়াদের সেঞ্চুরির ঠিক চারদিন আগে স্কটল্যান্ডের বিপক্ষে ৯৫ রানের ইনিংস খেলেন তিনি। ১০০ বলে তার ৯৫ রানের ইনিংসটি সাজানো ছিল ৯ চার ও ১ ছয়ে। সেই ম্যাচে প্রথমবারের মতো বিশ্বকাপে ৩০০ রান তাড়া করে জয় পায় বাংলাদেশ।
মুশফিকুর রহিম ৮৯- ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে রিয়াদের সেঞ্চুরির দিন তার সাথে জুটি বেঁধে ৮৯ রান করে আউট হয়েছিলেন মুশফিক। বলা যেতে পারে মাহমুদউল্লাহর ধীর গতির ব্যাটিংয়ের পাশে মুশফিকের ৮টি চার ও ১টি ছয়ে ৭৭ বলে ৮৯ রানের ঝকঝকে ইনিংসটির কারণেই সেদিন বাংলাদেশ ক্রিকেটের নতুন ইতিহাস রচিত করেছিল।
মোহাম্মদ আশরাফুল ৮৭- ২০০৭ সালের বিশ্বকাপে ভারতকে নিজেদের প্রথম ম্যাচেই হারিয়ে চমক দেখায় বাংলাদেশ। আর সুপার এইটে শক্তিশালী দক্ষিণ আফ্রিকাকে হারিয়ে দেয়ার ম্যাচে ৮৭ রানের এই ইনিংসটি খেলেন আশরাফুল। ১২টি চারে সাজানো ৮৭ রানের ইনিংসটিতে আশরাফুল মাত্র ৮৩ বল খেলেছিলেন।
তামিম মুশফিকরা এবার বাংলাদেশের হয়ে চতুর্থ বিশ্বকাপ খেলতে যাচ্ছেন আর মাহমুদউল্লাহ তৃতীয়। টানা তিনটি বিশ্বকাপ (২০০৩, ২০০৭ ও ২০১১) খেলা আশরাফুল দলে নেই। তবে ইংল্যান্ডের কন্ডিশন বলছে এবার হয়তো বিশ্বকাপটা ব্যাটসম্যানদেরই হবে। বাংলাদেশী ক্রিকেটপ্রিয় মানুষগুলো তাই অপেক্ষায় আছে তামিম, মুশফিক, মাহমুদউল্লাহ, সাকিবদের ব্যাটে বিদ্ধংসী কিছু ইনিংস দেখার।
একনজরে বিশ্বকাপে টাইগারদের সেরা ৫ ইনিংসঃ
১. মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ- ১২৮* রান
২. মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ- ১০৩ রান
৩. তামিম ইকবাল- ৯৫ রান
৪. মুশফিকুর রহিম- ৮৯ রান
৫. মোহাম্মদ আশরাফুল- ৮৭ রান।
সামনে বিশ্বকাপ, আপনি ক্রিকেট ভালোবাসেন কিন্তু নিজের প্রতিভা বিকাশের সুযোগ পাচ্ছেননা! এমন ক্রিকেট প্রিয় মানুষগুলোর জন্য বিডি স্পোর্টস নিউজ নিয়ে আসলো সুবর্ণ সুযোগ। ক্রিকেট, ফুটবল অথবা যেকোনো খেলা নিয়ে bdsportsnews.com এ লিখতে চাইলে ইমেইলের মাধ্যমে যোগাযোগ করুন contact@bdsportsnews.com এই ঠিকানায়।