গত ১৪ ফেব্রুয়ারি কাশ্মীরের পুলওয়ামায় জঙ্গি-হানার পরিপ্রেক্ষিতে ভারত-পাকিস্তানের সম্পর্ক তলানিতে এসে ঠেকেছে। হরভজন সিং বিশ্বকাপে পাকিস্তানের বিরুদ্ধে ম্যাচ বয়কট করার কথা বলেছেন। সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায় পাকিস্তানের সঙ্গে সব রকমের সম্পর্ক ছিন্ন করার কথা বলেছেন। গাভাস্কার অবশ্য এই সুরে গলা মেলাচ্ছেন না। তিনি বলেছেন পাকিস্তানে সাথে ভারত ম্যাচ বয়কট করলে মূলত লোকসানটা ভারতেরই।
সুনীল গাভাস্কার প্রশ্ন তুলেছেন, বিশ্বকাপে ভারত পাকিস্তানের বিরুদ্ধে না খেললে কার জয় হবে? বলেছেন, আমি সেমিফাইনাল, ফাইনালের কথা বলছিই না। কে জিতবে? পাকিস্তান জিতবে, কারণ ওরা দুটো পয়েন্ট পাবে। ভারত এপর্যন্ত বিশ্বকাপে যতবারই দেখা হয়েছে, পাকিস্তানকে হারিয়েছে। সুতরাং যেখানে পাকিস্তানকে হারিয়ে আমরা নিশ্চিত করতে পারি যে, ওরা টুর্নামেন্টে এগোতে পারবে না, সেখানে ম্যাচ বয়কট করে আসলে দুটো পয়েন্ট খোয়াব। যদিও আমি দেশের পাশেই আছি। সরকার যে সিদ্ধান্তই নিক, আমি পূর্ণ সমর্থন করব। দেশ যদি চায়, পাকিস্তানের সঙ্গে খেলা উচিত নয়, আমি মেনে নেব।
তিনি আরও বলেন, পাকিস্তানের লোকসান কোথায়? তখনই যখন ওরা ভারতের বিরুদ্ধে দ্বিপাক্ষিক সিরিজ খেলবে না। অনেক দলের টুর্নামেন্টে ওদের সঙ্গে না খেললে ভারতেরই লোকসান। যদিও বুঝতে পারছি, অসন্তোষ, আবেগ তুঙ্গে রয়েছে, কিন্তু গোটা বিষয়টা আরেকটু গভীরে ঢুকে বিচার করা উচিত। ওদের সঙ্গে না খেললে কী হবে? ভাল করেই জানি, দুটো পয়েন্ট হাতছাড়া করেও কোয়ালিফাই করার মতো যথেষ্ট শক্তি ভারতের আছে। কিন্তু কেন ওদের হারিয়ে যাতে কোয়ালিফাই করতেই না পারে, সেটা সুনিশ্চিত করব না?
বিশেষজ্ঞদের ধারণা বিসিসিআই আইসিসি-তে ৩০মে ইংল্যান্ডে শুরু হতে চলা বিশ্বকাপে পাকিস্তানকে নিষিদ্ধ করার দাবি করলেও ধাক্কা খাওয়ার সম্ভাবনাই বেশি বলেও অভিমত জানান গাভাস্কার। বলেন, চেষ্টা করতেই পারে, কিন্তু সেটা হবে না। কেননা অন্য সদস্য দেশগুলিকে দাবিটা মানতে হবে, যা হবে বলে মনে হয় না। আমরা সবাই যা ঘটেছে, তাতে আঘাত পেয়েছি, বিরাট ট্র্যাজেডি এটা। কিন্তু এতে আইসিসি-তে গিয়ে কাজ হবে কিনা, খুব নিশ্চিত নই। অন্য দেশগুলি বলতে পারে, এটা ওদের ব্যাপার, ওদেরই সামলাতে দিন, আমাদের জড়াবেন না।