চলতি বিশ্বকাপে রাজত্ব করছেন ব্যাটসম্যানরা। আফগানিস্তান ও শ্রীলঙ্কা ছাড়া বাকি আট দলের ব্যাটসম্যানদের কেউ না কেউ সেঞ্চুরির দেখা পেয়েছেন। যার ধারারাহিকতায় প্রতি ম্যাচেই গড়ে তিনশোর অধিক রান হচ্ছে।
এবাররে বিশ্বকাপে সর্বোচ্চ রান তোলার নিরিখে এগিয়ে আছেন অস্ট্রেলিয়ান ব্যাটসম্যান ডেভিড ওয়ার্নার। আসরে সাত ম্যাচ খেলে তিনি দুই সেঞ্চুরি ও তিন অর্ধশতক হাঁকিয়েছেন। ওয়ার্নারের চেয়ে চার রান কম নিয়ে দ্বিতীয় স্থানে আছেন দলের আরেক ওপেনিং ব্যাটসম্যান অ্যারন ফিঞ্চ। ছয় ম্যাচে ৪৭৬ রান নিয়ে তৃতীয়স্থানে আছেন বাংলাদেশের সাকিব আল হাসান।
এদিকে সর্বোচ্চ ৬টি বিশ্বকাপ খেলে বিশ্বকাপে এখন পর্যন্ত সব থেকে বেশি রান শচীন টেন্ডুলকারের এ বিশ্ব সেরা ব্যাটসম্যানের ঝুলিতে আছে ২২৭৮রান। আদৌ কি এই রানের রেকর্ড কেউ ভাঙতে পারবে? কেন পারবে না! বর্তমানে ক্রিকেটের যা অবস্থা তাতে শচীনের রান ধরা ছোঁয়ার না। ২০১৯ বিশ্বকাপে আপনারা তারই নমুনা দেখতে পাচ্ছেন।বিশ্বকাপ জ্বলে উঠেছে ব্যাটসম্যানদের রাজত্বে।
শচীন টেন্ডুলকারের পরে দ্বিতীয় অবস্থানে আছেন অস্ট্রেলিয়ান ব্যাটসম্যান রিকি পন্টিং। এই অজি অধিনায়ক ব্যাটসম্যান করেছেন ১৭৪৩ রান। পন্টিং অবশ্যই সেরাদের সেরা একজন। এবং তার হাত ধরেই এসেছে অস্ট্রেলিয়ার তিনটি বিশ্বকাপ।
তৃতীয় অবস্থানে আছেন শ্রীলংকার কুমার সাঙ্গাকারা। যে মানুষটির কারণে পুরো বিশ্ব চেনে শ্রীলঙ্কাকে, তার ঝুলিতে আছে ১৫৩২ রান। শ্রীলংকার এই উইকেটরক্ষক-ব্যাটসম্যান শ্রীলঙ্কাকে অনেক দূর এগিয়ে নিয়েছেন।
ক্যারিবীয়দের সর্বকালের সেরা ব্যাটসম্যান ব্রায়ান লারা। যার কথা না বললেই নয়, তার ঝুলিতে রয়েছে ১২২৫ বিশ্বকাপ রান। উইন্ডিজকে দীর্ঘদিন সার্ভিস দিয়েছেন এই ব্যাটসম্যান, তার কথা পুরো ক্রিকেট বিশ্ব ভুলবেন কোনোদিন।
এইতো কিছুদিন আগে অবসর নিয়েছেন প্রোটিয়া ব্যাটসম্যান এবি ডি ভিলিয়ার্স। যিনি প্রতিপক্ষকে একাই ঘায়েল করে ফেলার ক্ষমতা রাখতেন। এবি ডি ভিলিয়ার্সের ঝুলিতে রয়েছে ১২০৭ রান। চলতি বিশ্বকাপে তার অভাবটা খুব ভালো ভাবেই টের পেয়েছে দক্ষিণ আফ্রিকা।