চট্টগ্রাম টেস্টের চতুর্থ দিনের শেষ সেশনের খেলা বৃষ্টিতে পন্ড হয়েছে । চা বিরতি থেকে ফেরার পর সাকিব ও সৌম্যর কয়েক ওভার ব্যাটিংয়ের পরেই হঠাৎ ঝুম ঝুম করে বৃষ্টি শুরু হয়। ওখানেই খেলা শেষ হয়।
চতুর্থ ইনিংসে আফগানদের দেওয়া ৩৯৮ রানের লক্ষ্যে ব্যাট করে ৪৪.২ ওভারে ৬ উইকেটে ১৩৬ রান করেছে বাংলাদেশ। ব্যাটিংয়ে আছেন সাকিব (৩৯) ও সৌম্য (০)।
এদিনে দিনের শুরুতে দুই উইকেট হাতে রেখে আফগানিস্তান ব্যাটিংয়ে নেমেছিল। বেশিদূর যেতে পারেনি তারা। ২৩ রান যোগ করে হারায় শেষ দুই উইকেট। ২৬০ রানে অলআউট হয়ে প্রথম ইনিংসের লিডসহ তাদের পুঁজিতে রান ৩৯৭। বাংলাদেশ টার্গেট পায় ৩৯৮ রানের।
আফগানদের পাহাড়সম রান তাড়া করতে নেমে বাংলাদেশের হয়ে ব্যাটিং উদ্ধোধন করতে আসেন লিটন দাস ও সাদমান ইসলাম। এই জুটিতে ৩০ রান তোলার পর প্রথম ধাক্বা খায় বাংলাদেশ। ব্যক্তিগত ৯ রানে জাহির খানের বলে এল বি ডব্লিই হন লিটন।
দ্বিতীয় উইকেটে ব্যাট করতে আসেন ব্যাটিং প্রমোশন পাওয়া মোসাদ্দেক। শুরুটা ভালো করলেও রশিদ খানের করা অফ স্ট্যাম্পের বলে বড় শর্ট খেলতে গিয়ে ব্যক্তিগত ১২ রানে সাজঘরে ফেরেন লিটন।
মমিনুলের জায়গায় তৃতীয় উইকেটে ব্যাটিং করতে আসেন মুশফিক। তাকেও বেশি সময় ক্রিজে স্থায়ী হতে দেননি রশিদ। এল বি ডব্লিইয়ের ফাঁদে পড়া মুশফিক ২৫ বলে থেকে ২৩ রান করে আউট হন।
মুশফিকের বিদায়ের পরের ওভারেই ক্রিজে আসা মমিনুলকে ৩ রানে ফিরিয়ে দেন রশিদ। এতে ৮২ রানে ৪ উইকেট হারানো দলে পরিণত হয় বাংলাদেশ। দলীয় সংগ্রহ তিন অংক পেরোনোর পর সাদমানকে ফিরিয়ে দেন নবী। সাদমানের ১১৪ বলে ৪১ রানের ইনিংসটি সাজানো ছিল ৪ টি চারে।
প্রথম ইনিংসের পর দ্বিতীয় ইনিংসেও ব্যার্থ হন মাহমুদউল্লাহ। রশিদের বলে ফরোয়ার্ড ড্রাইভ করতে গিয়ে ৭ রানে ক্যাচ দেন শর্ট লেগে। এ সময় ক্রিজে থাকা সাকিবকে সঙ্গ দিতে আসেন সৌম্য সরকার।
তবে দিনের ১৩ ওভার বাকি থাকতে বৃষ্টি নামে চট্টগ্রামে জহুর আহম্মেদ স্টেডিয়ামে। যা প্রায় নিশ্চিত বাংলাদেশের হারতে বসা টেস্টটাকে পঞ্চম দিনে নিয়ে যায়। পঞ্চম দিনে বাংলাদেশের চড়তে হবে আরো ২৬২ রানের বিশাল পর্বতে! হাতে সম্বল ৪টি উইকেট।
আফগানিস্তান প্রথম ইনিংসে করে ৩৪২ রান। বাংলাদেশ করে ২০৫ রান।