এই ইংলিশ অলরাউন্ডারকে বলা হয়ে থাকে, সময়ের সেরা জেনুইন অলরাউন্ডার। বিশ্বকাপের উদ্বোধনী দিনে ব্যাটিং, বোলিং, ফিল্ডিং- তিন বিভাগেই যেন তা প্রমাণ করে দিলেন ।
প্রোটিয়াদের বিপক্ষে প্রথম ইনিংসে ব্যাট হাতে করেছেন ৮৯ রান। ৭৯ বলের ইনিংসে ছিল নয়টি চারের মার। শেষ ওভার শুরুর আগেই (৪৮.৬ ওভার) লুঙ্গি এনগিদির বলে ফিরেছেন স্টোকস।
নয়তো পেয়ে যেতে পারতেন সেঞ্চুরির দেখাও। ইংল্যান্ডকে তিনশ রান এনে দিয়ে তারপর উইকেট ছেড়েছেন স্টোকস। তাঁর ইনিংসের বদলোতে ৩১১ রান করতে পেরেছে ইংল্যান্ড।
এরপরে বল হাতেও চমক দেখিয়েছেন স্টোকস। মাত্র ২.৫ ওভার বল করে দিয়েছেন দুই উইকেট। ১২ রান খরচায় স্টোকস এদিনে তুলে নিয়েছেন কাগিসো রাবাদা এবং ইমরান তাহিরের উইকেট।
৪৯তম ওভারের শেষ বলে ফেরার আগে ৯ চারে ৮৯ রান করেন স্টোকস, যা বিশ্বকাপে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে ইংল্যান্ডের কোনো ব্যাটসম্যানের সর্বোচ্চ। আগের সেরা ছিল ১৯৯২ বিশ্বকাপে গ্রায়েম হিকের ৮৩।
ব্যাটিংয়ের পর ফিল্ডিংয়ে নিজের সামর্থ্য দেখান স্টোকস। মইন আলির বলে জেপি দুমিনির ক্যাচ ছিল সহজ। তবে আদিল রশিদের বলে আন্দিলে ফেলুকোয়ায়োর ক্যাচ ছিল ভীষণ কঠিন। ডিপ মিডউইকেটে ঝাঁপিয়ে পড়ে এক হাতে বল মুঠোয় নেন স্টোকস, ধরেন অবিশ্বাস্য এক ক্যাচ।
দেরিতে বল হাতে পাওয়া স্টোকস ১২ রানে নেন ২ উইকেট। ৩৯তম ওভারে পরপর দুই বলে দুই উইকেট নিয়ে দক্ষিণ আফ্রিকাকে থামিয়ে দিয়ে দলকে এনে দেন শতরানের জয়। ইংল্যান্ডের দাপুটে জয়ে তিন বিভাগে অবদান রেখে জিতে নেন ম্যাচ সেরার পুরস্কার।