প্রথম ইনিংসে ৪৪ রানের লিডের পরও স্বস্তিতে ৩য় দিন শেষ করতে পারেনি বাংলাদেশ ক্রিকেট দল। ১৫ রানে ৩ সেরা ব্যাটারকে হারিয়ে যখন ধুঁকছিল বাংলাদেশ তখন কিছুটা আশার প্রদীপ জ্বালিয়ে রেখেছিলেন ওপেনার সাইফ হাসান। অন্য ৩ জনের আসা-যাওয়া দেখার মাঝে তিনি ছিলেন কিছুটা অবিচল।
কিন্তু শেষ পর্যন্ত আর অবিচল থাকতে পারলেন না। মুশফিকুর রহীমের সঙ্গে জুটি বেঁঁধেছেন কেবল ১০ রানের। ব্যক্তিগত ১৮ রানের মাথায় শাহিন শাহ আফ্রিদির হাতে রিটার্ন ক্যাচ দিয়ে ফিরে গেলেন তিনিও। ২৫ রানে পড়লো ৪ উইকেট। বলাই যায়, ৪ উইকেট হারিয়ে এখন চরম ব্যাটিং বিপর্যয়ে পড়েছে বাংলাদেশ।
পাকিস্তানের বিপক্ষে লিড নিয়ে খেলতে নেমে শুরুতেই বিপদে পড়ে বাংলাদেশ। ইনিংসের ৫ম ওভারে পাকিস্তানের পেসার শাহীন শাহ আফ্রিদির বলে এলবিডব্লিউ হয়ে সাজঘরে ফেরেন সাদমান ইসলাম। পাকিস্তানের বোলার ও ফিল্ডারদের আবেদনে আউট দিয়েছিলেন আম্পায়ার।
এরপর নাজমুল হোসেন শান্ত কোনো রান না করেই আউট হয়েছেন স্লিপে ক্যাচ দিয়ে। তিনি ছিলেন শাহীনের ২য় শিকার। এরপর অধিনায়ক মুমিনুল হককেও রানের খাতা খোলার আগেই সাজঘরের পথ দেখান হাসান আলী।
টানা দুই বাউন্ডারিতে দারুণ খেলতে থাকা সাইফ হাসান পানি পানের বিরতির খানিক পরেই শাহীনের বাউন্সার সামলাতে গিয়ে তার হাতেই ক্যাচ তুলে দিয়েছেন ব্যক্তিগত ১৮ রানে। এরপর দিনের বাকি সময়টা পাড়ি দিয়েছেন ইয়াসির ও মুশফিক। পাকিস্তানের ফিল্ডাররা হাত না ফসকালে আরও দুইটি উইকেট হারাতে পারতো বাংলাদেশ।
সংক্ষিপ্ত স্কোর-
বাংলাদেশ (১ম ইনিংস)- ৩৩০/১০ (১১৪.৪ ওভার) (লিটন ১১৪, মুশফিক ৯১; হাসান ৫/৫১, ফাহিম ২/৫৪)
পাকিস্তান (১ম ইনিংস)- ২৮৬/১০ (১১৫.৪ ওভার) (আবিদ ১৩৩, শফিক ৫২; তাইজুল ৭/১১৬; এবাদত ২/৪৭)
বাংলাদেশ (২য় ইনিংস)- ৩৯/৪ (১৯ ওভার) (সাইফ ১৮, মুশফিক ১২; শাহিন ৩/৬, হাসান ১/১৯)