অস্ট্রেলিয়ার সাবেক উইকেটকিপার এডাম গিলক্রিস্ট একদিন বলছিলেন- “অধিনায়ক তো অনেকেই আছেন, মা আছেন কয়জন?? খেলার মাঠে বাকী দশজন খেলোয়াড়কে বুকের মাঝে আগলে রেখে সাহস জোগানো “মা” টাই হলো “মাশরাফি”। বারবার হেরে যাওয়া একটি দূ্র্বল দলকে মাথা উঁচু করে বিশ্বকে চিনিয়ে দেওয়া মানুষটাই হলো “মাশরাফি”।
মাশরাফি সম্পর্কে মাশরাফির বাবা একদিন বলেছিলেন, “আমার ছেলে শুধু ৫ ওয়াক্ত নামাজই না, তাহাজ্জুদও পরে। আল্লাহর রহমতে ওর কোনো বাজে অভ্যাস নেই। ছেলে ইয়াং ছিলো। নিষিদ্ধ “আই সি এল” খেলার জন্য কতৃপক্ষ তাঁকে ১৬ কোটি টাকা সাধলো। ছেলে বললো -“দেশের জন্য খেলে গরীব থাকলেও খুশি আমি! “পায়ে খুব ব্যাথা,কাউকে বুঝতে দেয় না, লুকিয়ে লুকিয়ে পেইন কিলার খেয়ে খেলতে নামে। ও খুব ইমোশোনাল, বাংলাদেশ হারলে একা একা কাঁদে। সবার মাঝে সাহস জোগানো মানুষটি দল হেরে গেলে লুকিয়ে কাঁদে। যাতে অন্যরা মনোবল না হারায়। জগতে লুকিয়ে কান্না করার চেয়ে বড় কষ্ট বোধ হয় নেই।
মাশরাফি চিরকাল থাকবে না। এটাই যে তার শেষ বিশ্বকাপ। রঙিন পোশাকে হয়তো একদিন আর দেখা যাবে না মাশরাফি নামক যোদ্ধাকে। লিটন-সৌম্যরা সেদিন ব্যাটিং করতে গিয়ে ভেঙে পড়লেই পাশ থেকে কানে বেঁজে উঠবে -” ব্যাটিং কর! রান না করলে মরবি না!”
ঘাড়ের রগটা বাঁকা করে লিটনরা ঘুরে দাড়াবে। মিরাজ-রুবেলরা বল করতে গিয়ে যখন দিশা হারিয়ে ফেলবে,তখনই মনে পড়ে যাবে, একজন “মাশরাফির” কথা। মনে পড়তেই প্রতিপক্ষের উইকেট তুলে নিয়ে তাসকিনরা বুকের সাথে বুক মেলাবে। বেডে শুয়ে শুয়ে টিভি সেটের সামনে বসে মাশরাফি চোখ মুছবে, আর আনন্দের অশ্রুতে ভিজে যাবে মাশরাফির বুক।
সংগ্রহীত: জীবন আহমেদ (ক্রিকেট আড্ডা-ক্রিকেট সংবাদ)