ছোটো দল হয়েও সীমিত ওভারের ম্যাচে বাংলাদেশকে ভালোই টেক্কা দেয় আফগানিস্তান। এই দুই দলের লড়াই সব সময়ই ক্রিকেট মাঠে আলাদা উত্তেজনা ছড়ায়।
বৃহস্পতিবার এই দুই দল আরো একবার মাঠে নামছে। যেখানে ক্রিকেটের সবচেয় রাজকীয় ফরম্যাটে টেস্ট ম্যাচে প্রথমবারের মতো একে অপরের বিপক্ষে প্রতিদ্বন্দ্বীতা করতে তারা।
টেস্ট ক্রিকেটে অভিজ্ঞতার বিচারে বাংলাদেশ প্রতিপক্ষ আফগানিস্তান থেকে যোজন যোজন এগিয়ে। যেখানে বাংলাদেশ ১৯ বছরের টেস্ট ক্রিকেট ইতিহাসে খেলে ফেলেছে একশোর অধিক টেস্ট সেখানে আফগানিস্তান খেলছে সবে মাত্র দুইটি টেস্ট। বাংলাদেশ হতে যাচ্ছে টেস্ট ক্রিকেটে তাদের তৃতীয় প্রতিপক্ষ।
ম্যাচের আগের দিন সংবাদ সম্মেলনে রশিদ খান বলেছেন, ‘আমরা সত্যিই রোমাঞ্চিত। টেস্ট খেলা সব সময়ই অনেক গর্বের। আমরা ভারত ও আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে খেলেছি, কখনোই আমরা প্রতিপক্ষ নিয়ে ভাবিনি।
আমরা সব সময় খেলায় মনোযোগ দিয়েছি। এটা অন্যান্য ফরম্যাটের চেয়ে আলাদা। এটা পুরোপুরি ভিন্ন একটা ফরম্যাট। ম্যাচ নিয়ে আমরা সত্যিই রোমাঞ্চিত এবং আমরা আমাদের শতভাগ দেওয়ার চেষ্টা করব।’
ম্যাচটা প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ হবে বলেই মনে করেন রশিদ, ‘আমরা পরস্পরকে জানি। বাংলাদেশ ও আমরা অনেক ওয়ানডে ও টি-টোয়েন্টি খেলেছি। আমরা ওদের ব্যাটসম্যান, বোলারদের সম্পর্কে জানি। ওরাও আমাদের সম্পর্কে জানে। এটা তাই দারুণ এক লড়াই হবে। আমরা আমাদের শতভাগ দেওয়ার চেষ্টা করব এবং ম্যাচ উপভোগ করব।’
চট্টগ্রামে ম্যাচটিতে বাংলাদেশই এগিয়ে থাকবে বলে জানিয়েছেন রশিদ খান। তিনি বলেন, ‘অবশ্যই বাংলাদেশ আমাদের চেয়ে অনেক এগিয়ে থাকবে। ওরা দেড়শর বেশি টেস্ট ম্যাচ খেলেছে। এই ফরম্যাটটা আমাদের জন্য নতুন। তবে অবশ্যই আমাদের প্রতিভা ও স্কিল আছে। আমাদের শুধু ইতিবাচক ক্রিকেট খেলা নিশ্চিত করতে হবে।’
বাংলাদেশকে এগিয়ে রাখলেও জয়ের জন্যই মাঠে নামতে চান রশিদ, ‘জয়ের জন্যই আমরা এখানে এসেছি। সবারই লক্ষ্য থাকে ম্যাচ জেতা। আমাদের মনোযোগ শুধু ভালো খেলা এবং দলের জন্য ম্যাচ জেতা। দুই দলের সামনেই জয়ের সুযোগ আছে। দুই দলেরই প্রতিভা ও অভিজ্ঞতা আছে। নির্দিষ্ট দিনে যারা ভালো করতে পারবে তারাই জিতবে।’