চ্যাম্পিয়ন্স কাপে একটি শিরোপা জয়ের লক্ষ্য নিয়েই বার্সা থেকে রেকর্ড মূল্যে নেইমারকে দলে টেনেছিল পিএসজি। তবে অনেক চড়াই উৎরাইয়ের পর নেইমারকে পেলেও চ্যাম্পিয়ন্স কাপে শিরোপার মুখটা এখনো দেখা হয়নি পিএসজির। কারণ গেল আসরে মার্সায়ের বিপক্ষে ডান পায়ের ফিফথ মেটাটারসালে চিড় দেখা দিয়েছিল নেইমারের। চিকিৎসার জন্য তিন মাস মাঠের বাইরে থাকতে হয় নেইমারকে। ফলে নেইমারকে ছাড়াই মাঠে নামতে হয় পিএসজিকে। ফলাফলে নক আউট পর্বে থেকেই ছিটকে যায় পিএসজি।
কিন্তু গেল আসরের মতো এবারো চ্যাম্পিয়ন্স লিগের নক আউট পর্বের আগে আবারো একই ধরণের ইনজুরিতে পড়েছেন নেইমার। ফরাসি কাপে স্ট্রসবুর্গের বিরুদ্ধে পায়ের গোড়ালির সেই একই জায়গায় চোট পেয়েছেন তিনি। এক সপ্তাহ পর বুধবার ক্লাবের তরফে জানানো হয়েছে, নেমারের ডান পায়ের ফিফথ্ মেটাটারসাল ভেঙেছে। যা সারতে অন্তত ১০ সপ্তাহ সময় লাগবে। পাশাপাশি ক্লাবের তরফে জানানো হয়েছে, নেমারের কনজারভেটিভ ট্রিটমেন্ট করা হবে।
ডাক্তাররা আপাতত বলে দিয়েছেন, মার্চ মাস শেষ না হওয়ার আগ পর্যন্ত নেইমারের দলে ফেরার কোনো সম্ভাবনা নেই। এর অর্থ, চ্যাম্পিয়ন্স লিগে নেইমার ম্যানইউয়ের বিপক্ষে হোম অ্যান্ড অ্যাওয়ে- কোনো পর্বের ম্যাচেই খেলতে পারছেন না। তাই চ্যাম্পিয়ন্স লিগের নক আউট পর্বে অভিযান শুরুর আগেই সুখবর রেড ডেভিলসদের জন্য। প্রতিপক্ষের সেরা তারকার বিরুদ্ধে খেলতে হবেনা তাদের।
পিএসজি সূত্রে খবর, ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের বিরুদ্ধে দুই লেগেই খেলতে পারবেন না নেইমার। চ্যাম্পিয়ন্স লিগের নক আউট পর্বে ১২ ফেব্রুয়ারি ওল্ড ট্র্যাফোর্ডে ম্যানইউয়ের মুখোমুখি পিএসজি। ৬ মার্চ ফিরতি লেগে প্যারিসে মুখোমুখি হবে দুই দল। শুধু তাই নয়, ফরাসি লিগ ওয়ানসহ কয়েকটি টুর্নামেন্টের আরও ১২টি ম্যাচ খেলতে পারছেন না ব্রাজিল তারকা।
গত সোমবার প্যারিসে ব্রাজিল এবং পিএসজির ডাক্তাররা এক বৈঠকে মিলিত হয়। যার নেতৃত্বে ছিলেন ব্রাজিল দলের ডাক্তার রদ্রিগো লাসমার। যিনি গত বছর নেইমারের অস্ত্রোপচার করেছিলেন। তিনি জানিয়েছেন, গত বছরের ইনজুরিটা পুরোপুরি সারেনি। যে কারণে, নেইমারকে এখনও সেখানে ইনজুরির শিকার হতে হচ্ছে।’
এই অবস্থায় পিএসজি চায় নেইমারের আঘাতপ্রাপ্ত জায়গায় আবারও অস্ত্রোপচার হোক। তাহলে পুরোপুরি সেরে যাবেন তিনি। তবে নেইমারের পরিবার এবং ব্রাজিল দলের ডাক্তাররা বলছেন, ‘এখনই নয়। আমরা নেইমারের আঘাতের অবস্থাটা আরও পর্যবেক্ষণ করতে চাই।’ তবে অস্ত্রোপচার করা না করা এখন পুরোপুরিই নির্ভর করছে নেইমারের ওপর। তিনি সিদ্ধান্ত নিলে অস্ত্রোপচার হবে, না নিলে হবে না।