১৯৮৬ সালের আর্জেন্টিনার বিশ্বকাপ জয়ী ফুটবল ঈশ্বরকে কে না চেনে। বাংলাদেশের আর্জেন্টাইন সমর্থকগণ তো বটেই ব্রাজিল, জার্মানি, ইতালি, ফ্রান্স সহ অন্যান্য দলগুলো যারা সাপোর্ট করেন তারাও ম্যারাডোনার ফুটবল জাদুতে বিমোহিত হননি এমন কথা বললে ভুল বলা হবে। এখনকার সময়ে মেসি রোনালদোরা যেমন ফুটবল প্রিয় মানুষগুলোকে সবসময় তাদের ফুটবল জাদুতে মাতাল করে রাখছেন তেমনি ম্যারাডোনার সময় ম্যারাডোনা ম্যারাডোনা রবে মুখরিত হতো ফুটবল বিশ্ব। সেই ম্যারাডোনাই যদি নিজের ফেসবুক পেজে বাংলাদেশী এথলেটদের বন্ধু বলে পরিচয় করিয়ে দেন তাহলে এর চেয়ে বেশি আর কি চাওয়ার হতে পারে তার কাছে আমাদের।
স্পেশাল অলিম্পিক ফুটবল খেলতে আবুধাবিতে থাকা বাংলাদেশ ইউনিফাইড ফুটবল দল বৃহস্পতিবার ম্যারাডোনার সাক্ষাৎ পায়। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে বিশ্ব ফুটবলের জীবন্ত কিংবদন্তি বাংলাদেশর উইনিফাইড ফুটবল দল নিয়ে লিখেছেন যে, ‘আমার বন্ধু বাংলাদেশ প্রতিনিধিদের সঙ্গে। যারা আবুধাবিতে বিশেষ অলিম্পিকে অংশগ্রহণ করছেন। তাদের আমাদের আল ফুজাইরাহ ক্লাবে আমন্ত্রণ জানানো হয়। খেলা একটি চমৎকার বিষয়। কারণ এটি আমাদের আরও কাছাকাছি এবং একসঙ্গে নিয়ে আসে। সবার জন্য একটি চুম্বন। বিশেষ করে যারা প্রতিদিন তাদের নিজেদের সীমা অতিক্রম করার চেষ্টা করে।’ আবুধাবির আল ফুজাইরাহ ক্লাবের মাঠে অনুশীলন করে বাংলাদেশ ইউনিফাইড ফুটবল দল আর ম্যারাডোনা বর্তমানে এই ক্লাবটির কোচের দায়িত্ব পালন করছেন।
আগামী বছর অর্থাৎ ২০১৯ সালে স্পেশাল অলিম্পিক অনুষ্ঠিত হবে সংযুক্ত আরব আমিরাতের আবুধাবিতে। বাংলাদেশসহ ৩০টি দেশের ইউনিফাইড ফুটবল দল আয়োজকদের আমন্ত্রণে আবুধাবিতে অবস্থান করছে। গত বৃহস্পতিবার আবুধাবির আল ফুজাইরাহ ক্লাবের মাঠে অনুশীলন করছিলো বাংলাদেশ দল। এমন সময় হঠাৎ করেই সেখানে উপস্থিত হন এই ফুটবল কিংবদন্তি। বাংলাদেশী ফুটবলারদের সাথে মাত্র ১০ মিনিটের মতো অবস্থান করলেও তাদের সাথে অনেক ছবি তোলেন তিনি।
প্রতিবন্ধী ও শারীরিকভাবে সুস্থ ফুটবলারদের সমন্বিত দল ইউনিফাইড ফুটবল দল হিসেবে পরিচিত। ইউনিফাইড ফুটবল দলে যে ১৫ জন খেলোয়াড় থাকেন তার মধ্যে আটজন প্রতিবন্ধীর সঙ্গে সাতজন সম্পূর্ণ সুস্থ ফুটবলার। একাদশে যে এগারো জন ফুটবলার থাকেন তার মধ্যে ছয়জন প্রতিবন্ধীর সঙ্গে পাঁচজন সম্পূর্ণ সুস্থ খেলোয়াড় থাকেন।