রংপুরের ম্যাচ জয়ের নায়ক হলেন ফরহাদ রেজা। শেষ দিকে তার ৬ বল ১৮ রানের ইনিংসে ৩ বল ও ৩ উইকেট হাতে রেখে জয় পেল মাশরাফির রংপুর রাইডার্স। টানা তিন ম্যাচ হারের পর জয়ের দেখা পেল তারা।
সিলেটের বড় রানের জবাবে গেইলের ব্যাটের দিকে তাকিয়ে ছিল রংপুর শিবির । তবে চলতি আসরে নিজের চতুর্থ ম্যাচেও ব্যর্থ হন গেইল। মাত্র ২ বল থেকে ০ রান নিয়ে প্রথম ওভারেই ইরফানের শিকার হন তিনি।
শুরুর ধাক্কা রংপুর কাটিয়ে ওঠে হেলস ও রুশো জুটিতে। এই দুই ব্যাটসম্যান পাওয়ার প্লে থেকে আরও ৫৯ রান তোলেন। যা রংপুরকে ম্যাচ জয়ে আশা দেখায়। তবে এরপরই ছন্দপতন । দলীয় ৬৪ রানের মাথায় কাপালির শিকার হন হেলস। ২৪ বল থেকে ৩৩ রান করেন তিনি।
তৃতীয় উইকেটে রংপুরের জার্সি গায়ে প্রথমবারের মতো ক্রিজে নামেন এবি ডি ভিলিয়ার্স। অপর প্রান্তে থাকা রুশোকে নিয়ে তিনি সিলেটের বোলারদের শাষণ করতে থাকেন। এই জুটিতে ৩৮ বল থেকে ৬৭ রান তোলেন তারা।
দলীয় ১৩০ রানে ৩৫ বল থেকে ৬১ রান করা রুশোকে ফেরান তাসকিন। সেই ধাক্কা সামলে ওঠার আগেই তাসকিনের দ্বিতীয় শিকারে পরিণত ডি ভিলিয়ার্স। দলীয় ১৩৭ রানে তাসকিনের বলে সরাসরি বোল্ড হন তিনি। ২১ বল থেকে ৩৪ রান করে ডি ভিলিয়ার্স।
গুরুত্বপূর্ণ সময়ে দুই সেট ব্যাটসম্যান হারিয়ে ম্যাচ থেকে কিছুটা ছিটকে যায় রংপুর। এ সময় রংপুরকে ম্যাচে ফেরানোর চেষ্টা করেন নাহিদুল ও মিঠুন। পঞ্চম উইকেটে তারা ২২ বল থেকে ৩৪ রান তোলেন। দলীয় ১৭১ রানে তাসকিনের বলে ওয়ার্নারের হাতে ক্যাচ দিয়ে ১৪ রান নিয়ে ফেরেন মিঠুন। একই ওভারে তাসকিনের বলে বোল্ড হয়ে ফেরেন অন্য সেট ব্যাটসম্যান নাহিদুল (১৯)।
শেষ দুই রংপুরের ম্যাচ জিততে প্রয়োজন ছিল ১৪ বল থেকে ২৪ রান। এ সময় মাশরাফি ও রেজা জুটি রানার ওভারে ১৯ রান তোলের। যার মধ্যে রেজা ১টি চার ১টি ছক্কা ও দুটি ডবলে ৪ বল থেকে নেন ১৪ রান। শেষ ওভারে রংপুরের প্রয়োজন ছিল ৫ রান। এ সময় প্রথম বল থেতে মাশরাফি সিঙ্গেল নিলে স্ট্রাইক পান রেজা। এ সময় ওভারের তৃতীয় বলটি থেকে স্টেট চার মেরে রংপুরের জয় নিশ্চিত করে রংপুরের। ৩ বল থেকে ৫ রানে মাশরাফি আর ২টি চার ও ১টি ছক্কায় ৬ বল থেকে ১৮ রান নিয়ে অপরাজিত থাকেন রেজা।
সিলেটের হয়ে ৪২ রান খরচায় ৪টি উইকেট নেন তাসকিন। ইরফান ৩৪ রানে ও কাপালি ৩৪ রানে ১টি উইকেট নেন।