ম্যানচেস্টারের ওল্ড ট্রাফোর্ডে আজ টসে হেরে প্রথমে ব্যাট করে রোহিত শর্মার সেঞ্চুরি ও রাহুল-কোহলির হাফ সেঞ্চুরিতে ভর করে ৩৩৬ রানের বিশাল পাহাড় গড়েছে ভারত। বিশ্বকাপ ইতিহাসে ভারত বনাম পাকিস্তান কোনো ম্যাচে এটিই সর্বোচ্চ দলীয় স্কোর।
হাই ভোল্টেজ ম্যাচে ভারতের হয়ে উদ্ধোধনী জুটিতে ব্যাট করেন রোহিত শর্মা ও কেএল রাহুল। এই দুই ব্যটসম্যান উদ্ধোধনী জুটিতে ১৩৬ রান তোলেন। ইনিংসের ২৪তম ওভারে প্রথম সফলতা পায় পাকিস্তান।
এ সময় রাহুলকে ৫৭ রানে আউট করে ওহাব রিয়াজ। তবে অন্য প্রান্তে থাকা রোহিত শর্মা তুলে নেন সেঞ্চুরি। ৩৪ বল থেকে হাফ সেঞ্চুরির পর ৮৯ বলে নিজের সেঞ্চুরি পূরণ করেন তিনি।
রোহিটের সেঞ্চুরি করার পথে দ্বিতীয় উইকেটে তাকে সঙ্গ দেন কোহলি। সেঞ্চুরির করার পর আরও ভয়ংকর হয়ে ওঠেন রোহিত। সে সময় রোহিতের বিদ্ধংসী ব্যাটিংয়ের রাশ টানেন হাসান আলী। ইনিংসের ৩৯তম ওভারে ১১৩ বল থেকে ১৪টি চার ও ৩টি ছক্কায় ১৪০ রান করে ক্যাচ আউট হন রোহিত। যদিও ব্যক্তিগত ৩৫ রানের সময় রোহিতের সহজ রান আউট মিস করে পাকিস্তান।
রোহিতের বিদায়ের পর ভারতের হাল ধরেন অধিনায়ক বিরাট কোহলি। ৫১ বল খেলে নিজের হাফ সেঞ্চুরি তুলে নেন তিনি। একই সাখে এদিন তিনি ক্রিকেট ইতিহাসে দ্রুততম ১১ হাজের রানের মাইলফলক স্পর্শ করেন।
হাফ সেঞ্চুরির পর রানের গতি দ্রুত করতে থাকেন কোহলি ও তার সঙ্গী হার্দিক পান্ডে। এ সময় পান্ডেকে ২৬ রানে বিদায় করেন আমির। পান্ডের জায়গায় চুতর্থ উইকেটে ধোনি ক্রিজে আসলে তিনিও বেশিক্ষন স্থায়ী হতে পারেননি। মাত্র ১ রান করেই আমিরের বলে সরফরাজের হাতে ক্যাচ দিয়ে প্যাভিলিয়নে ফেরেন সাবেক ভারতীয় অধিনায়ক।
ইনিংসের ৪৭তম ওভারের চতুর্থ বলে বৃষ্টির বাধায় পড়ে ভারত-পাকিস্তান ম্যাচ। এ সময় ভারতের সংগ্রহ ৪ উইকেটে ৩০৫ রান। ক্রিজে কোহলি ৬২ বল থেকে ৭১ রান ও বিজয় শঙ্কর ৩ রান নিয়ে অপরাজিত ছিলেন।
বৃষ্টি বিরতির পর দ্বিতীয় দফায় ব্যাটিংয়ে নামে ভারত। তবে এ সময় ৪৮তম ওভারে কোহিল ঝড় থামিয়ে দেন আমির। কোহলি ৬৫ বলে ৭টি বাউন্ডারিতে ৭৭ রান করেন।
শেষ ২০ বল থেকে ৩১ রান তোলে ভারত। এতে নির্ধারতি ৫০ ওভার শেষে ৫ উইকেট ৩৩৬ রান তুলতে সক্ষম হয় তারা। এ সময় বিয়জ শঙ্কর ১৫ ও কেদার যাদব ৯ রানে অপরাজিত থাকেন।
পাকিস্তানের হয়ে সফল বোলার ছিলেন মোহাম্মদ আমির। তিনি ৪৭ রানে নেন ৩টি উইকেট। হাসান আলী ৮৪ রানে নেন ১টি উইকেট। পাকিস্তানের বিশ্বকাপ ইতিহাসে এক ইনিংসে তিনি এখন সর্বোচ্চ খরুচে বোলার। ওহাব রিয়াজ ৭০ রান দিয়ে নেন ১টি উইকেট। স্পিনারদের মধ্যে শাদাব খান ৯ ওভারে ৬১ রান খরচ করে ছিলেন উইকেট শূন্য।