২০১১ থেকে ২০১৪-র মধ্যে প্রায় প্রায় ৬০ লক্ষ ইউরো কর ফাঁকি দেওয়ার অভিযোগে জুভেন্টাস স্টার ক্রিস্টিয়ানো রোনালদোর ২৩ মাসের জেলের সুপারিশ করা হয়েছে। আগামী সোমবার রাতে ক্লাবের হয়ে সিরিয়া-এ লিগে চিয়েভোর বিরুদ্ধে খেলে মাদ্রিদ উড়ে যাওয়ার কথা জুভেন্টাস তারকার৷ আগামী মঙ্গলবারই তাঁর ভবিষ্যৎ কী হতে চলেছে তা জানা যাবে।
সোমবার সেখানে মামলার শুনানির সময় তাঁর আদালতে উপস্থিত থাকার কথা। ব্যক্তিগত এবং ইতালির ক্লাবে খেলার কারণ দেখিয়ে ভিডিও কনফারেন্সিংয়ে কোর্টের হাজিরা সারতে চেয়েছিলেন রোনালদো। কিন্তু বিচারক সরাসরি এই আবেদন খারিজ করে দেন। নির্দেশ দেন, সশরীরে উপস্থিত থাকতে হবে তারকা ফুটবলারকে।
সূত্রের খবর, মঙ্গলবার আদালতে অপরাধ স্বীকার করতে চলেছেন তিনি। সে ক্ষেত্রে সাজা কিছুটা কম হওয়ার সম্ভাবনা থাকছে। যদিও গত বছর জুলাই মাসে নিজেকে নির্দোষ বলে দাবি করেছিলেন তিনি। কর ফাঁকির ক্ষেত্রে স্পেনে আইন খুব কড়া।
ইতিমধ্যেই ৫৭ লক্ষ ইউরো দিয়ে দিয়েছেন রোনালদো৷ পাশাপাশি সুদ বাবদ ১০ লক্ষ ইউরো জমা দিয়েছেন৷ কিন্তু তাতেও মামলার গেরো থেকে রক্ষা পাননি তিনি। এর আগে মেসির নামও জড়িয়েছিল কর-ফাঁকি কাণ্ডে।
একই মামলায় রোনালদোর একদা সতীর্থ খাবি আলোন্সোকেও আদালতে হাজিরা দিতে হবে। তাঁর বিরুদ্ধে ১৮ লক্ষ ইউরো কর ফাঁকি দেওয়ার অভিযোগ রয়েছে। আলোন্সো-ও নিজের অপরাধ আদালতে স্বীকার করতে পারেন বলে খবর। জুরিদের বিচারে তাঁর ৫ বছর পর্যন্ত সাজা হতে পারে। এখন কী হয় তা জানা যাবে মঙ্গলবার।
বিশেষজ্ঞদের মত, প্রথমবারের জন্য কর ফাঁকি দেওয়ায় ২ বছর বা তার কম সময়ের কারাদণ্ড আইন করে বাতিল করেছে সরকার। ফলে সব ঠিক থাকলে রোনালদোকে হয়তো জেলে রাত কাটাতে হবে না। তবে তার পরিবর্তে অন্য শাস্তি হতে পারে। সেটা কী, তা সময়ই বলবে।