প্রথমে অস্ট্রেলিয়াকে ২-১ ব্যাবধানে ও তারপরে নিউজিল্যান্ডকে ৪-১ ব্যাবধানে হারিয়েছে টিম ইন্ডিয়া। এই ধারাবাহিক ভাল পারফরম্যান্সের পুরস্কার পেল ভারত। দলগত ওয়ানডে র্যাঙ্কিংয়ে নিজেদের অবস্থান আরো পোক্ত করল ভারত।
সোমবার পঞ্চাশ ওভারের ফর্ম্যাটের সাম্প্রতিক র্যাঙ্কিং প্রকাশ করল আইসিসি। ভারত-নিউজিল্যান্ড ওয়ান-ডে সিরিজের শেষে দু’দলের দুই ক্রিকেটার দেখালেন দুর্দান্ত উত্তরণ। একদিনের ক্রিকেটে এখনও এক নম্বরেই রয়েছে ইংল্যান্ড। তাদের রেটিং পয়েন্ট ১২৬। ভারত অবশ্য একেবারে ঘাড়ে নিশ্বাস ফেলছে ইংল্যান্ডের। বিরাটরা আছেন ১২২ পয়েন্টে।
এদিকে ভারতের বিপক্ষে ওয়ানডে সিরিজে ৪-১ ব্যবধানে হারের ফলে র্যাঙ্কিংয়ের তিন নম্বর থেকে চারে নেমে গেছে নিউজিল্যান্ড। পাকিস্তানের বিপক্ষে সিরিজ জয়ের ফলে তিন নম্বর স্থানে উঠে এসেছে দক্ষিণ আফ্রিকা। তবে দক্ষিণ আফ্রিকা ও নিউজিল্যান্ড দুটি দলেরই পয়েন্ট সমান ১১১ আর পাঁচে রয়েছে পাকিস্তান।
এদিকে বছরের শেষ দিকে ভারতের বিপক্ষে ওয়ানডে সিরিজ হারার বর্তমানে র্যাঙ্কিংয়ের ষষ্ঠ স্থানে রয়েছে অস্ট্রেলিয়া। অস্ট্রেলিয়া থেকে সাত পয়েন্ট কম অথাৎ ৯৩ পয়েন্ট নিয়ে আগের মতোই সপ্তম স্থানে রয়েছে বাংলাদেশ। অষ্টম স্থানে শ্রীলঙ্কা, নবম ওয়েস্ট ইন্ডিজ ও দশম স্থানে আফগানিস্তান।
ব্যাটসম্যানদের তালিকায় এক নম্বর আসনটাই ধরে রেখেছেন বিরাট কোহলি। ভারত অধিনায়ক টেস্ট ও ওয়ান-ডে ফর্ম্যাটের মগডালেই বসে রয়েছেন। অন্য ব্যাটসম্যানদের মধ্যে দক্ষিণ আফ্রিকার কুইন্টন ডি কক এক ধাপ এগিয়ে আটে এলেন। তাঁর সতীর্থ হাশিম আমলা তিন ধাপ এগিয়ে ১৩ নম্বর স্থানে।
এদিকে গত মাসে অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে সিরিজে ভালো পারফরম্যান্সের জেরে র্যাঙ্কিংয়ে উপরে উঠে এসেছেন মহেন্দ্র সিং ধোনি। অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে সিরিজে ম্যান অফ দ্য সিরিজ হয়েছিলেন তিনি। আইসিসি র্যাঙ্কিংয়ে তিন ধাপ এগিয়ে এখন ১৭ নম্বরে ধোনি।
বোলারদের র্যাঙ্কিংয়ে তৃতীয় স্থানে উঠে এসেছেন কিউই বোলার ট্রেন্ট বোল্ট।
২০১৬-র জানুয়ারিতে তালিকার শীর্ষে ছিলেন বোল্ট। এখন তাঁর আগে রয়েছেন বুমরাহ ও আফগান স্পিনার রশিদ খান। যজুবেন্দ্র চাহাল এক ধাপ এগিয়ে উঠে এসেছেন পঞ্চম স্থানে। ভুবনেশ্বর কুমার ছয় ধাপ এগিয়ে এখন ১৭ তম স্থানে।