চট্টগ্রাম টেস্টের শেষ দিনে লজ্জা এড়াতে পারলো না বাংলাদেশ। টেস্টের নবাগত সদস্য আফগানিস্তানের কাছে ২২৪ রানের ঐতিহাসিক হার হারলো বাংলাদেশ।
আজ বিকেলে টেস্ট বাঁচাতে ১৮.৩ ওভার ব্যাটিং করতে হতো বাংলাদেশকে। হাতে সম্বল ছিলো ৪টি উইকেট। অথচ বৃষ্টির পর আবার খেলা শুরু হলে জহির খানের প্রথম বলেই অফ স্টাম্পের বাইরের বল কাট করতে গিয়ে আউট হন সাকিব আল হাসান। সাকিব ৪৪ রানে ফেরার সময় বাংলাদেশের সংগ্রহ ৭ উইকেটে ১৪৩ রান।
এরপর মিরাজ ও সৌম্য জুটি ক্রিজে স্থায়ী হন ৮.৫ ওভার। যা আফগানদের আত্ববিশ্বাসে চিড় ধরাচ্ছিল। কিন্তু এমন সময় আফগান শিবিরে স্বস্তি ফিরিয়ে আনেন অধিনায়ক রশিদ খান। মিরাজকে (১২) এল বি ডব্লিউ করে প্যাভিলনে ফেরত পাঠান তিনি। রিভিউ নিয়েও রক্ষা পাননি মিরাজ।
রশিদ খান নিজের পরের ওভারেই বাংলাদেশের নবম ব্যাটসম্যান তাইজুল ইসলামকে প্যাভিলনে ফিরিয়ে দেন। ব্যাটে বল লাগা সত্বেও তাইজুলকে আম্পায়ার এল বি ডব্লিই দেন। মিরাজ রিভিউ নষ্ট করে ফেলায় আম্পায়ারের সিদ্ধান্ত চ্যালেঞ্জ জানাতে পারেননি তাইজুল।
তাইজুলের বিদায়ের পর শেষ ৭.৩ ওভারে সৌম্য একাই খেলার সিদ্ধান্ত নেন। তবে ৬.৪ ওভারের সময় রশিদ খানের বল সামনের পায়ে ডিফেন্স করেছিলেন সৌম্য। ক্যাচ চলে যায় শর্ট লেগে ইব্রাহিম জাদরানের হাতে। ৫৯ বলে ১৫ রানে আউট হন বাঁহাতি এই ব্যাটসম্যান। জয়ের আনন্দে মাতে আফগানিস্তান।
এর আগে বৃষ্টিতে প্রথম সেশনের খেলা ভেস্থে যাওয়ার পর ৬ উইকেট হারিয়ে ১৩৬ রান নিয়ে দ্বিতীয় সেশনে ১৩টি বল ব্যাটিয়ের পর আবারো বৃষ্টিতে বন্ধ হয়ে যায় খেলা। বাংলাদেশের হয়ে দ্বিতীয় ইনিংসে সাদমাদ ৪১ ও মুশফিক ২৩ রান করেন। এছাড়া আর কেউই ক্রিজে দাঁড়াতে পারেনি।
রশিদ খান প্রথম ইনিংসের ৫ উইকেটের পর দ্বিতীয় ইনিংসে নিলেন ৬টি উইকেট। এছাড়া জাহির খান নেন ৩টি ও নবী নেন ১টি উইকেট। ম্যাচ সেরা হয়ে রশিধ খান তা ডেডিকেটেড করেছেন আজ বাংলাদেশের বিপক্ষে শেষ টেস্ট খেলা মোহাম্মদ নবীকে।
এর আগে আফগানিস্তান নিজেদের প্রথম ইনিংসে ৩৪২ রান করলে জবাবে বাংলাদেশ ২০৫ রানে গুটিয়ে যায়। পরে সফরকারী আফগানরা নিজেদের দ্বিতীয় ইনিংসে ২৬০ রান করে।