চলতি আইপিএল আসরে ফর্মের ধারে কাছেও নেই কোহলির ব্যাট। চলতি আসরে তার দল রয়েল চ্যালেঞ্জার বেঙ্গালুরু চারটি ম্যাচ খেলেও এখনো জয় বঞ্চিত। প্রতিটি ম্যাচে কোহলির ব্যাটিং ব্যর্থতার সঙ্গে ব্যাঙ্গালুরু শিবিরে চিন্তার ভাজ বাড়িয়েছে ব্যাটিং ধ্বস।
চলতি আইপিএলে কোহলির ব্যাটিংয়ের সঙ্গে প্রশ্ন উঠেছে তার অধিনায়কত্ব নিয়ে। টানা চার ম্যাচের হার তার দলকে শুরুতেই ঠেলে দিয়েছে ব্যাকফুটে। আইপিএল ইতিহাসে এর আগে কখনোই শুরুতে এতটা খারাপ পরিস্থিতির মুখে পড়েনি আরসিবি। পরিসংখ্যান বলছে শেষ পাঁচ মৌসুমের মধ্যে এবার সবচেয়ে খারাপ শুরু বিরাটদের৷ এমন অবস্থা চলতে থাকলে আসর শেষ হওয়ার আগেই নেতৃত্ব হারাতে পারেন কোহলি।
২০১৮ সালের শুরুতে নাইটদের বিরুদ্ধে হার, এরপর কিংসের বিরুদ্ধে জয়৷ পরে রাজস্থান ও মুম্বাইয়ের কাছে হার৷ অর্থাৎ উত্থান-পতনের মধ্যে দিয়ে গেলেও শুরুতেই টানা চার ম্যাচে ধাক্কা খেতে হয়নি৷
২০১৭ সাল- আসরের প্রথম ম্যাচে সানরাইজার্সের কাছে হার৷ পরে দিল্লির বিরুদ্ধে জয়, ফের কিংস ও মুম্বাইয়ের কাছে হার৷ এ আসরে চোটের কারণে প্রথম তিন ম্যাচে দলে ছিলেন না বিরাট৷ পরে চতুর্থ ম্যাচ থেকে অধিনায়ক হিসেবে ফেরেন কোহলি৷
২০১৬ সাল- সানরাইজার্সের বিরুদ্ধে জয় দিয়ে মৌসুম শুরু৷ দ্বিতীয় ম্যাচে দিল্লির কাছে হার, পরে মুম্বাইয়ের কাছে তৃতীয় ম্যাচ হেরে ফের চতুর্থ ম্যাচে রাইজিং সুপারজায়েন্টের বিরুদ্ধে জয় পায় আরসিবি৷ অর্থাৎ প্রথম চার ম্যাচের দুটিতে জয় ও দুটিতে হেরেছিল আরসিবি৷
২০১৫ সাল- নাইটদের বিরুদ্ধে জয় দিয়ে আসর শুরু করে তারা। দ্বিতীয় ম্যাচে সানরাইজার্সের পরাজয়ের ধাক্কা৷ মুম্বাইয়ের কাছে তৃতীয় ম্যাচে ফের হার ও চতুর্থ ম্যাচে সুপার কিংসের কাছে হার৷ প্রথম চার ম্যাচের একটিতে জিতেছিল আরসিবি৷
২০১৪ সাল- দিল্লির বিরুদ্ধে জয় দিয়ে শুরু, দ্বিতীয় ম্যাচে মুম্বাইকে হারায় ব্যাঙ্গালুরু৷ পরে তৃতীয় ম্যাচে নাইটদের কাছে হার ও চতুর্থ ম্যাচে রাজস্থানের কাছে পর্যুদস্ত হওয়া৷ অর্থাৎ প্রথম চার ম্যাচের একটিতে অন্তত জিতেছিল আরসিবি৷
অর্থাৎ পরিসংখ্যান বলছে, শেষ পাঁচ বছরে এবারেই অধিনায়ক কোহলির আইপিএল কেরিয়ারের সবচেয়ে খারাপ সময় যেখানে টানা চার ম্যাচ হেরে মরশুম শুরু করেছে আরসিবি৷
উল্লেখ্য, চলতি আইপিএলে কোহলির স্কোর গুলো যথাক্রমে ৬, ৪৬, ৩ ও ২৩। রানের এমন ধারাবাহিকতা কোহলি নামটির সঙ্গে যা একেবারেই বেমানান।