তামিমের নেতৃত্বে ব্যর্থতার এক সফর শেষে বৃহস্পতিবার শ্রীলঙ্কা থেকে দেশে ফিরেছে বাংলাদেশ দল। শ্রীলঙ্কা সফর ছাড়াও বিশ্বকাপে আসরেও ব্যাট হাতে আলো ছড়াতে পারেননি তামিম। এমন অবস্থায় সতীর্থ তামিমকে বিশ্রাম নেওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন সাকিব আল হাসান।
২০১৫ বিশ্বকা থেকে ২০১৮ সাল পর্যন্ত সম্ভবত ক্যারিয়ারের সেরা সময়টা কাটিয়েছেন তামিম ইকবাল। সাত সেঞ্চুরি ও ১৪ ফিফটিতে করেছেন ২১৮০ রান। ব্যাটিং গড় ছিল ৬২.২৮। যা তাকে বিশ্ব ক্রিকেট সেরা ব্যাটসম্যানদের তালিকায় তুলে আনে।
তবে চলতি বছর তামিম যেন কোথায় হারিয়ে গেছেন। চলতি বছর তার ব্যাটে এসেছে মাত্র তিন হাফ সেঞ্চুরি। সবশেষ শ্রীলঙ্কা সফরে তিন ম্যাচের সিরিজে তামিমের সংগ্রহ যথাক্রমে ০, ১৯ ও ২। চলতি বছরে তার ব্যাটিং গড় ২৬ এর কাছাকাছি। স্টাইকরেট ও প্রতি ম্যাচেই তার আউটের ধরণ নিয়ে প্রশ্ন উঠছে। এমন পারফরমেন্স তার আত্ববিশ্বাসে চিড় ধরিয়েছে।
তামিমের ক্যারিয়ারে এমন সংকটময় পরিস্থিতে তাকে বিশ্রাম নিয়ে ফের নতুন সূচনার পরামর্শ দিয়েছেন সাকিব আল হাসান। আজ (বৃহস্পতিবার) বেলা সাড়ে ১১টার সময় বনানীর বিদ্যা নিকেতন স্কুল এন্ড কলেজে ডেঙ্গু বিষয়ক সচেতনতামূলক কার্যক্রমে উপস্থিত সতীর্থ তামিম ও বাংলাদেশের দলের বর্তমান পরিস্থিতি নিয়ে কথা বলেছেন তিনি।
তামিমকে নিয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে সাকিব বলেন, ‘দেখুন একজন ক্রিকেটারের এমন সময় আসতেই পারে। এখন আমার মনে হয় যে ওর জন্য যেটা দরকার, খুব ভালো একটা বিশ্রাম নেয়া, নিজেকে রিকভার করা, ফ্রেশ হওয়া এবং আগের চেয়ে ভালোভাবে ফিরে আসা। আমি নিশ্চিত ও (তামিম) এটা করবে।’
এসময় নিজের ক্রিকেটে ফেরার ব্যাপারে সাকিব বলেন, ‘আগামীকাল (শুক্রবার) হজে যাচ্ছি ইনশাআল্লাহ। তো তারপর হজ শেষে আসার পর আমাদের যে খেলা আছে, আফগানিস্তানের বিপক্ষে গুরুত্বপূর্ণ একটা সিরিজ আছে। দেখা যাক, আশা করছি যদি ফিট থাকি তাহলে খেলবো।’
শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে সিরিজটা সাকিব ছুটি নিয়েছেন নিজ থেকেই। লঙ্কান অধিনায়ক দিমুথ করুনারাত্নে সোজাসাপটা স্বীকার করেছেন, যদি সাকিব থাকতেন তাহলে এত সহজে জয় পেতো না তার দল। এ ব্যাপারে জানতে চাওয়া হয় সাকিবের কাছেও। তবে তিনি উত্তর দেন খানিক ঘুরিয়ে।
সাকিবের ভাষ্যে, ‘দেখুন বলা যায় না। ক্রিকেট এক বলের খেলা। হয়তো তিনটা ভালো বলে তিনদিন আমি আউট হয়ে যেতে পারতাম। তখন আমার পক্ষ থেকে কোনো অবদান রাখা হতো না। আমি একটা জিনিস মনে করি, যখন কোনো খেলোয়াড় শারীরিক বা মানসিকভাবে ফিট না থাকে তখন তার খেলা ঠিক না। কারণ এতে কাজটা কঠিন হয়ে যায়। আমি মনে করি পারফরম্যান্সের ক্ষেত্রেও এ জিনিসটা অনেক প্রভাব ফেলে।’
তিনি আরও বলেন, ‘বিশ্বকাপে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ম্যাচটা যখন পরিত্যক্ত হয়ে গেলে, আমরা খেলতে পারলাম না। তখন সবাই বলছিলো যে আমাদের নিশ্চিত দুই পয়েন্ট হাতছাড়া হয়ে গেল। কিন্তু এ সিরিজটা প্রমাণ করে দিল যে সে দুই পয়েন্ট নিশ্চিত ছিলো না। হয়তো জিততে পারতাম, আবার হারতেও পারতাম। এ সিরিজের কথা বললে অবশ্যই হতাশার। সিরিজ হারলেও, যদি একটা ম্যাচ জিততে পারতাম তাহলে হয়তো আত্মবিশ্বাসটা ঠিক থাকত। হয়তো এখন সময় এসেছে ভালোভাবে চিন্তা করে পুরো প্ল্যান করে আগামী ৩-৪ বছরের জন্য এগুনোর।’