বাংলাদেশের ক্রিকেট, মাঠের চাইতে মাঠের বাইরেই আলোচনায় সরগরম থাকে বেশি। সময় বাড়ার সাথে সাথে যেন সমালোচনার পাল্লাটাই বেশি ভারী হচ্ছে। সে তুলনায় বাড়ছেনা ক্রিকেট বোর্ড কিংবা ক্রিকেটারদের সফলতার পাল্লা। আর তাইতো বাংলাদেশের ক্রিকেটপ্রেমী দর্শকরা এখন দেশ কার সাথে হারলো বা জিতলো সে খবরের তুলনায় ক্রিকেট বোর্ডের সাথে ক্রিকেটারদের সম্পর্ক, ক্রিকেটারদের ব্যাক্তিগত জীবন এসব নিয়েই বেশি আলোচনা না বলে সমালোচনায় অভভস্থ হয়ে পড়েছে।
ট্রফি নিয়ে আলোচনায় বাংলাদেশ ক্রিকেট দর্শকদের যথেষ্ট অনীহা আছে। কারণ, ভঙুর ওয়েস্ট ইন্ডিজ আর তলানিতে থাকা আয়ারল্যান্ডের সাথে ২০১৯ সালের সেই ত্রিদেশীয় সিরিজ জয় ছাড়া বলার মতো আর কিছুই যে নেই তাদের।
বছরজুড়ে এই আলোচনা সমালোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে থাকেন বাংলাদেশ ক্রিকেটের পোস্টারবয় সাকিব আল হাসান। ক্রিকেট নিয়ে কোনো খবর ছাপা হবে আর সাকিব আল হাসান তাতে থাকবেননা এমন হওয়াটাও বাংলাদেশ ক্রিকেটের জন্য অদ্ভুতই বলা যায়। সম্প্রতি তাই মজার ছলে সাকিব বলেছেন নিউজের জন্য হলেও তাকে ক্রিকেটে রাখা হোক। কদিন ধরে আবারো ক্রিকেট পাড়া সাকিবকে নিয়ে মেতেছে। কারণ আবারো মুখ খুলেছেন তিনি। বিসিবিকে নিয়ে এমনই এক বোমা ফাটিয়েছেন যাতে নতুন করে নড়ে চড়ে উঠেছে ক্রিকেট পাড়া। যারা এতদিন সাকিবকে দোষ দিয়েছে তারাও পড়েছেন কিছুটা দ্বিধাদ্বন্দের ভেতরে।
আর ঠিক সেই মুহূর্তে সাকিবের দেয়া আগুনে যেন ঘি ঢাললেন বাংলাদেশ ক্রিকেটের আরেক মহিরথী সাবেক ওয়ানডে অধিনায়ক মাশরাফি বিন মুর্তজা। একাত্তর টিভিকে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে নিজের ভেতরে এতদিন জমিয়ে রাখা ক্ষোভ উগড়ে দিয়েছেন বিসিবির উপর।
ওয়েস্ট ইন্ডিজ সিরিজের আগে ফিটনেস ইস্যু টেনে মাশরাফিকে দল থেকে বাদ দেয়ার কথা বলেছিলেন বিসিবি সভাপতি। আদৌ কি ফিটনেসের সমস্যা ছিল তাঁর! নাকি বাদ দেয়ার জন্য শুধু ইস্যু বানানো হয়েছিল সেটা?
এই প্রশ্নের উত্তরে বিক্ষুব্ধ মাশরাফি বলেন, “ডাটা গুলো একটু বের করে দেখেন, আমার একটা ফিটনেস টেস্টও ফেল আছে কিনা? আমি তো এইগুলো ক্যামেরার সামনে এসে কখনো বলিইনাই। ভাই! যে মানুষগুলা কথা বলতেছে ওদের অবদান কি? তাদের অবদান গুলা যদি আমি তুলে ধরি তাহলে তো খারাপ হয়ে যাবে।”