সিরিজ নির্ধারনী তৃতীয় ও শেষ ওয়ানডেতে শ্রীলঙ্কা ইমাজিং দলকে ২৭০ রানের লক্ষ্য বেঁধে দিলো বাংলাদেশ ইমাজিং দল। বাংলাদেশের হয় এই ম্যাচে সাইফ হাসান দুর্দান্ত সেঞ্চুরি করেছেন। এছাড়া হাফ সেঞ্চুরির দেখা পেয়েছেন আফিস হোসেন।
শনিবার খুলনার শেখ আবু নাসের স্টেডিয়ামে টসে হেরে ব্যাটিয়ে নামে বাংলাদেশ। ব্যাটিংয়ের শুরুতেই দলীয় ৯ রানের মাথায় নাইম হাসানের উইকেট হারায় তারা।
তবে প্রাথমিক বিপর্যয় সামাল দেয় অধিনায়ক শান্ত ও সাইফ। ৩৯ রান করা শান্ত আউট হওয়ার পর গত ম্যাচের নায়ক ইয়াসীর আলী রাব্বিও বিদায় নেন মাত্র ৯ রান করে। ২৪.৫ ওভার দলীয় ৯৫ রানে ইয়াসীর আলীর আউটের পর চাপে পড়ে বাংলাদেশ। দলীয় শতরান আসে ২৭ তম ওভারে। সেখান থেকে ১২৫ রানের জুটি গড়ে বাংলাদেশকে ম্যাচে ফিরান সাইফ ও আফিফ।
সাইফ হাসানের ইনিংসের কথা আলাদা করে বলতেই হয় শুরুতে ডিফেন্সিভ খেলা সাইফ দুই অংকে পৌছান ৪১ তম বলে। ৮৪ বলে পূর্ণ করেন নিজের ব্যাক্তিগত ফিফটি। মারাত্নক স্লো ব্যাটিংয়ের জন্য গ্রুপ থ্রেডে সমালোচনা হচ্ছিলো হচ্ছিলো খুব। একসময় ১০৮ বলে ৭২ রানে অপরাজিত সাইফ পরের ১৩ বলে করেন ২৯ রান। রমেশ মেন্ডিসকে ছক্কা মেরে সেঞ্চুরি পূর্ণ করেন ১২১ বলে।
প্রথম ফিফটি ৮৪ বলে করলেও দ্বিতীয় ফিফটি আসে মাত্র ৩৭ বলে। শেষ পর্যন্ত ১৩০ বলে ৪ টি চার ও ৭ টি ছক্কায় আউট হন ১১৭ রান করে। ৫৭ তম বলে কালানা পেরেরাকে ছক্কা মেরে ফিফটি পূর্ণ করা আফিফ অপরাজিত থাকেন ৭০ বলে ৬৮ রান করে। এছাড়া ইয়াসিন আরাফাত মিশু ১১ বলে ১ চারে ১৩ রানে অপরাজিত ছিলেন। ফলে নির্ধারিত ৫০ ওভারে ৫ উইকেট হারিয়ে ২৬৯ রানের স্কোর পায় বাংলাদেশ ইমাজিং দল।
শ্রীলংকার হয়ে শিরান ফার্নান্দো ৩ টি,জেহান ড্যানিয়েল ২ টি ও কালানা পেরারা ১ উইকেট নিয়েছেন।