আসন্ন ইংল্যান্ড বিশ্বকাপকে সামনে রেখে গেল সপ্তাহে দল ঘোষণা করেছে বিসিবি। তবে দল ঘোষণার পর থেকেই তামিমের ওপেনিং সঙ্গী নিয়ে বিতর্ক শুরু হয়েছে। বিশ্বকাপের ঘোষিত স্কোয়াডে তামিমের সঙ্গে ওপেনিংয়ের জন্য সৌম্য সরকার ও লিটন দাসকে রাখা হয়েছে। তবে এই দুই ক্রিকেটারের পরিবর্তে কিছু সমর্থকের চাওয়া বিশ্বকাপের স্কোয়াডে সুযোগ দেওয়া হোক ইমরুল কায়েসকে।
সাম্প্রতিক সময়ে ফর্মে নেই লিটন দাস ও সৌম্য সরকার। তবে জিম্বাবুয়ে সিরিজে তিন ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজে প্রায় সাড়ে তিনশো রান করেছিলেন কায়েস। তাই ফর্মে থাকা ক্রিকেটারের পরিবর্তে কেন অফ ফর্মে থাকা লিটন ও সৌম্যকে বিশ্বকাপের দলে রাখা হলো তা নিয়ে শুরু থেকেই বিতর্ক চলছে।
বিতর্কের মধ্যে ঢাকা প্রিমিয়ার লিগে আবাহনীর হয়ে পর পর দুই ম্যাচে প্রথমে সেঞ্চুরি ও পরের ম্যাচেই অপরাজিত ডাবল সেঞ্চুরি হাঁকিয়েছেন সৌম্য সরকার। যা বিতর্ক অনেকটা থামিয়ে দিয়েছে। গেলো মঙ্গলবার ১৫৩ বলে সৌম্যের ২০৮ রানের ইনিংস ও বিশ্বকাপে নিজের ওপেনিং সঙ্গ নিয়ে কথা বলেছেন তামিম ইকবাল।
সৌম্যর ইনিংস নিয়ে তামিম বললেন, ‘এটা অনেক বড় অর্জন। যদিও সামনে আমরা খেলব একেবারেই ভিন্ন কন্ডিশনে, ভিন্ন বোলিং আক্রমণের বিপক্ষে। তবে রান করাটা সব সময়ই ইতিবাচক। এটা আত্মবিশ্বাস জোগায়। সে কোথায় রান করেছে এটা ব্যাপার না, গুরুত্বপূর্ণ হচ্ছে যে সে রান করেছে। ও যদি শেষ দুই ম্যাচে দুটি সেঞ্চুরির জায়গায় ১০-৫ রান করে সফরে যেত, ওর মাথায় একটু হলেও চাপ থাকত। যখন আপনি রান করবেন, তখন বুঝবেন কীভাবে রান করতে হয়। যখন কারও খারাপ সময় যায়, তখন সে ওটা ভুলে যায় কীভাবে রান করতে হয়। এটা ওর জন্য ভালো হয়েছে।’
নিয়মিত সঙ্গী পরিবর্তন প্রসঙ্গে তামিম বলেন, ‘নির্দিষ্ট ম্যাচে এটা কোনো সমস্যা তৈরি করে না। তবে ওপেনিংয়ে একজন নিয়মিত সঙ্গী থাকলে দুজনই খেলাটাকে ভালো বুঝতে পারব। অনেক সময় এমন থাকে যে আমার টাইমিং ভালো হচ্ছে না। হয়তো আমি মারছি, কিন্তু ফিল্ডারের কাছে চলে যাচ্ছে। তখন সঙ্গী একটা সুযোগ নিতে পারে। একইভাবে ওর সঙ্গে যদি এটা হয়, তবে আমার সুযোগ নিতে হয়। কিন্তু কেউ যদি নিজেই দলে থিতু না হয়, তাকে বলা ভারী অন্যায় যে ভাই তুমি মেরে খেলো। নিশ্চিত লিটন ও সৌম্য অনেক সুযোগ পেয়েছে। এখন সময় হয়েছে, সবাইকে দেখিয়ে দাও, তোমরা কত দুর্দান্ত। ওরা কত ভালো সেটা পৃথিবীকে দেখিয়ে দেওয়ার এটাই সময়।’
সৌম্য-লিটনকে নিয়ে অনেক বড় স্বপ্ন দেখেন তামিম ইকবাল। দেশের ক্রিকেট ইতিহাসের সেরা এই ব্যাটসম্যান একপ্রাকর ভবিষ্যদ্বাণী করেই বলেন, ‘ক্রিকেটে সেরা ওপেনিং জুটিগুলো দেখুন: হেইডেন-গিলক্রিস্ট, সৌরভ-শচীন, শেবাগ-শচীন। তাদের মধ্যে বোঝাপড়াটা ছিল অসাধারণ। যখন ওদের ম্যাচগুলো দেখবেন, আপনি মনে করবেন যে উইকেটে কী মজাটাই না করছে। আরেকজনের চাহিদা কী, সেটি বুঝতে পারছে। এ রকম সুযোগ আমাদের এখনো হয়নি। এই যে দুজন ওপেনার বিশ্বকাপে যাচ্ছে, তারা বাংলাদেশের হয়ে আগামী ১০-১৫ বছর খেলার সামর্থ্য রাখে। ওদের জন্য ভালো করার এটাই সেরা সময়।’