সম্প্রতি অদ্ভুত এক ইচ্ছা প্রকাশ করেছেন ইংল্যান্ড ক্রিকেট দলের সাবেক অধিনায়ক রে ইলিংওয়ার্থ। দেশটির আইন পরিবর্তন করে ‘স্বেচ্ছা মৃত্যু’কে বৈধতা দানের দাবি জানিয়েছেন তিনি।
ক্যান্সারে আক্রান্ত ৮৯ বছর বয়সী এই সাবেক ক্রিকেটার আইনি জটিলতায় স্বেচ্ছায় মৃত্যুবরণে বাঁধা পেয়ে দুঃখপ্রকাশও করেছেন।
চলতি বছরেই ক্যান্সারে আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন ইলিংওয়ার্থের স্ত্রী শারলি। ইলিংওয়ার্থ নিজেও খাদ্যনালীর ক্যান্সারে ভুগছেন। এখন তার রেডিওথেরাপি চলছে। ইলিংওয়ার্থের সুস্থ হয়ে ওঠার সম্ভাবনা কম হলেও একেবারে শেষ যায়নি বলে জানিয়েছেন চিকিৎসকরা। তবে নিজের ও স্ত্রীর অবস্থা পর্যবেক্ষণের পরে ইংল্যান্ডের ‘ইউথেনেসিয়া’ চালুর দাবি জানিয়েছেন ইলিংওয়ার্থ।
ইউথেনেসিয়া’ একটি গ্রীক শব্দ। এই শব্দটির বাংলা অর্থ হয় স্বেচ্ছায় মৃত্যুবরণ, বা যন্ত্রণাবিহীনভাবে মৃত্যু ঘটানো বা আরামের মৃত্যুবরণ। সাধারাণত, যখন কোনো ব্যক্তি অসুস্থতার কারণে চিকিৎসাগতভাবে দেখা যায় তার বাঁচার আশা আর নেই তখন তিনি ইউথেনেসিয়ার পথে হাঁটতে পারেন। ভারত, নেদারল্যান্ডস, বেলজিয়াম, যুক্তরাষ্ট্র, কানাডাসহ বেশ কিছু দেশে ইউথেনেসিয়া বৈধ।
দীর্ঘ দুই দশক ধরেই ইংল্যান্ডে স্বীকৃতভাবে ইউথেনেসিয়া নিষিদ্ধ। এর মাঝে অনেকেই এর বৈধতার দাবি জানিয়েছেন। তবে এবার সাবেক ইংলিশ অধিনায়ক ইলিংওয়ার্থের দাবি বেশ জোরালেভাবেই প্রচারিত হয়েছে।
ইলিংওয়ার্থ বলেন, আমার স্ত্রী জীবনের শেষ ১২ মাসে যে কষ্ট পেয়েছে, আমিও সেটি পেতে চাই না। হাসপাতাল থেকে হাসপাতালে ছুটে সে অসহ্য যন্ত্রণা ভোগ করেছে। সত্যি বলতে, আমি এভাবে বেঁচে থাকার কোনো মানে দেখি না। আমি স্বেচ্ছায় মৃত্যুকে সমর্থন করি। কিন্তু ইংল্যান্ডে স্বেচ্ছায় মৃত্যুর সুযোগ নেই, তাই আপনি সেটি করতে পারছেন না। এটি খুবই বিতর্কিত একটি বিষয়।
ইলিংওয়ার্থ আরও বলেন, “অনেক চিকিৎসক আছেন যারা ইউথেনেসিয়ার বিপক্ষে, কিন্তু তাদেরকে যদি আমার স্ত্রীর মতো জীবনযাপন করতে হত তাহলে হয়ত তারা নিজেদের চিন্তাধারা পরিবর্তন করতেন।”
নিজের স্বাস্থ্যগত পরিস্থিতি সম্পর্কে ইলিংওয়ার্থ জানান যে এখন তার চিকিৎসার দ্বিগুণ ডোজ দেওয়া হচ্ছে। আগামী দুই সপ্তাহ এভাবেই চলবে। তিনি আশা করছেন, ভাগ্য তার পক্ষে আসবে।