সাদা পোশাকে কিউই গতি তারকা ম্যাট হেনরির সুযোগটা আসে কালেভদ্রে। এবারেও এর ব্যতিক্রম হয়নি, ট্রেন্ট বোল্টের ইনজুরিতে ভাগ্য খুলেছে তার। আর সুযোগ পেয়েই হ্যাগলি ওভালের পেস সহায়ক উইকেটকে কাজে লাগিয়ে মাত্র ২৩ রানের বিনিময়ে তুলে নিয়েছেন ৭ উইকেট।
ফলে দক্ষিণ আফ্রিকার প্রথম ইনিংস থেমেছে স্রেফ ৯৫ রানে। জবাবে দিনশেষে ৩ উইকেটের বিনিময়ে ১১৬ রান তুলেছে নিউজিল্যান্ড।
ক্যারিয়ার সেরা বোলিংয়ে স্বদেশী বোলারদের মধ্যে রেকর্ড গড়েছেন হেনরি। ৯০ বছর পরে টেস্টে ইনিংসে একশো রানের নিচে গুটিয়ে গেছে প্রোটিয়ারা৷ তাদের লজ্জার দিনে রিচার্ড হ্যাডলির ১৯৭৬ সালে ভারতের বিপক্ষে ২৩ রানে ৭ উইকেট পাওয়ার কীর্তিকেও পেছনে ফেলেছেন হেনরি। আর তার হাত ধরে অভিজ্ঞ রস টেইলর, নিয়মিত অধিনায়ক কেন উইলিয়ামসনবিহীন টেস্টে শুভসূচনা করেছে ব্ল্যাকক্যাপসরা।
টসে হেরে আগে ব্যাট করা ডিন এলগারের দল শুরু থেকেই হেনরির রক্তচক্ষুর সামনে পড়ে। নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারানো দলটার হয়ে বলার মতন ২৫ রান করেন জুবায়ের হামজা। কিপার ব্যাটার ভেরেন্নির উইলো থেকে আসে ১৮ রান। অতিথিরা অলআউট হয়ে যায় ৯৫ রানে৷
এদিকে নিজেদের প্রথম ইনিংসের শুরুটাও ভালো হয়নি স্বাগতিকদের। দুই ওপেনার টম লাথাম এবং উইল ইয়ং বিদায় নেন দলীয় ৩৬ রানে। তৃতীয় উইকেটে ডেভন কনওয়ে আর হেনরি নিকোলস যোগ করেন ৭৫ রান। তবে ৩৬ রানে অলিভারের বলে বোল্ড হোন কনওয়ে। দিনশেষে নিকোলস ৩৭ আর নাইট-ওয়াচম্যান নিয়েল ওয়েগনার ২ রানে অপরাজিত আছেন।
সংক্ষিপ্ত স্কোর:
দক্ষিণ আফ্রিকা ১ম ইনিংস: ৪৯.২ ওভারে ৯৫ (এলগার ১, এ্ররউইয়া ১০, মারক্রাম ১৫, ফন ডার ডাসেন ৮, বাভুমা ৭, হামজা ২৫, ভেরেন্নি ১৮, ইয়ানসেন ২*, রাবাদা ০, স্টুয়ারম্যান ০, অলিভিয়ের ১; সাউদি ১২-২-৩৩-১, হেনরি ১৫-৭-২৩-৭, জেমিসন ১১-৪-১৯-১, ওয়েগনার ৯.২-২-১১-১, ডি গ্র্যান্ডহোম ২-১-১-০)।
নিউজিল্যান্ড ১ম ইনিংস: ৩৯ ওভারে ১১৬/৩ (লাথাম ১৬, ইয়ং ৮, কনওয়ে ৩৬, নিকোলস ৩৭, ওয়েগনার ২; রাবাদা ১২-২-৩৪-০, স্টুয়ারম্যান ১১-৪-২০-০, ইয়ানসেন ৮-৩-১১-১, অলিভিয়ের ৮-১-৩৬-২)।
বিডি স্পোর্টস নিউজ/বিপ্রতীপ দাস