মিরপুরে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে টেস্ট খেলতে নেমে টাইগারদের অবস্থা নাকাল। ৫০ ওভার পার হওয়ার আগেই মাত্র ১০৬ রানে অলআউট হয়েছে বাংলাদেশ। পরিসংখ্যানের খাতা বলছে ১০৬ রানের এই ইনিংস বাংলাদেশের টেস্ট ইতিহাসে সর্বনিম্ন ইনিংসের খাতায় ১৭তম স্থানে।
টেস্টের প্রথম ইনিংসে দুই সেশনও টেকেনি বাংলাদেশ। ৪১.১ ওভার ব্যাট করে ১০৬ রানেই অলআউট হয়ে গেছে স্বাগতিকরা। এমনকি মাত্র ৩০ রানের বেশি করতে পারেনি কোনো ব্যাটার। দলীয় শতরানও পার হয়েছে মূলত তাইজুল ইসলাম আর নাইম হাসানের কল্যাণে।
আরও পড়ুন: হাথুরুর চড় মারার বিষয়ে জানেন না শান্ত
টসে জিতে সফরকারীদের প্রথমে বোলিং করতে পাঠিয়েছিলেন বাংলাদেশ অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্ত। কিন্তু ব্যাট করতে নেমে মাত্র ৭ ওভারেই একে একে সাজঘরে ফিরলেন সাদমান ইসলাম, মমিনুল হক আর নাজমুল হোসেন শান্ত। এই তিন পেয়েছেন উইয়ান মুল্ডার।
এরপর কাগিসো রাবাদার বলে আউট হয়েছেন মুশফিকুর রহিম ও লিটন কুমার দাস। মিডল অর্ডার পর্যন্ত বাংলাদেশের হয়ে ডাবল ডিজিটে যেতে পেরেছিলেন জয় এবং মুশফিক। বল সংখ্যা আর পার্টনারশিপের বিবেচনায় তারাই ছিলেন বাংলাদেশের সেরা। জয়কে নিয়ে মুশফিক খেলেছেন ৮ ওভার। দলের স্কোরবোর্ডে সেই জুটি থেকে এসেছে ১৯ রান। মেহেদি হাসান মিরাজ করেছেন ১৩ রান।
লাঞ্চের পর প্রথম আঘাত আসে জয়ের ওপর। ৯৭ বলে ৩০ রানের টেস্ট ইনিংসটা শেষ করেছেন ডেইন পিটের বলে। খানিক পরেই অভিষিক্ত জাকের আলী অনিককে বোকা বানিয়েছেন কেশব মহারাজ।
আরও পড়ুন: বাফুফে নির্বাচন পর্যবেক্ষণে আসছে ফিফা-এএফসি
বাংলাদেশের স্কোরটা এরপর ১০০ পার করিয়ে দিয়েছেন নাইম এবং তাইজুল। দুজনের ২৬ রানের জুটি বাংলাদেশ ইনিংসেই সর্বোচ্চ! স্লিপে ক্যাচ দিয়ে নাইম হয়েছেন রাবাদার তৃতীয় শিকার। টাইগারদের ইনিংসের শেষটা করেছেন কেশব মহারাজ। দুর্দান্ত এক ডেলিভারিতে তাইজুল হয়েছেন বোল্ড।