টি-টোয়েন্টিতে পাকিস্তানের বিজয় রথ থামালো দক্ষিণ আফ্রিকা। পাকিস্তান টানা নয় ম্যাচ এই ফরম্যাটে নিজেদের আধিপত্য দেখানোর পর শুক্রবার দশম ম্যাচে দক্ষিণ আফ্রিকার মুখোমুখি হয়। তবে সরফরাজ নির্বাসনে থাকায় ভারপ্রাপ্ত অধিনায়ক শোয়েব মালিক জয়ের সেই ধারাবাহিকতা ধরে রাখতে পারলেন না। তিন ম্যাচ সিরিজের প্রথমটিতে ৬ রানে হার মানল তার দল পাকিস্তান। ০-১ ব্যবধানে পিছিয়ে থেকে রবিবার জোহান্সবার্গে সিরিজের দ্বিতীয় ম্যাচে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে আবার মুখোমুখি হবে পাকিস্তান।
শুক্রবার কেপ টাউনে প্রথম ম্যাচে প্রথমে ব্যাট করে ৬ উইকেটে ১৯২ রান তোলে প্রোটিয়ারা। ওপেনার গিহান ক্লোয়েট মাত্র ১৩ রানে সাজঘরে ফিরলেও দক্ষিণ আফ্রিকার দ্বিতীয় উইকেটে অধিনায়ক ডু প্লেসির সঙ্গে আরেক ওপেনার রেজা হেনড্রিকসের ১৩১ রানের রেকর্ড পার্টনারশিপ বড় রানের ভিত গড়ে দেয় প্রোটিয়াদের।
৪৫ বলে দুরন্ত ৭৮ রান করে অধিনায়ক ডু প্লেসি যখন আউট হন প্রোটিয়াদের রান তখন ১৫.২ ওভারে ১৫৭। এরপরই আফ্রিকার দ্রুত রান তোলার ছন্দে ভাটা পড়ে। ডু প্লেসিসের বিদায়ের পর ১৭৬ রানের মাথায় ৪১ বলে বিধ্বংসী ৭৪ রান করে হেনড্রিকস প্যাভিলনে ফেরেনে। শেষ ২৮ বলে ৫ উইকেট হারিয়ে ৩৫ রান তুলতে পারে তারা। মিলার করেন ১২ বলে ১০।
এদিন পাকিস্তানের পক্ষে সেরা বোলার উসমান শেনওয়ারি। ৩১ রানে তিন উইকেট নে এই বাঁ-হাতি পেসার।
১৯৩ রান তাড়া করতে নেমে মাত্র ৪ রানে ফকর জামানের উইকেট হারায় পাকিস্তান। তবে দ্বিতীয় উইকেটে জুটিতে ৬১ বলে ৮১ রান তোলেন বাবর আজম ও হুসাইন তালাত। এরপর দ্রুত এই দুই ব্যাটসম্যানকে হারিয়ে চাপে পড়ে যায় পাকিস্তান। ৩৮ রানে মিলারের দুরন্ত রান আউটের শিকার হন বাবর। ৪০ রানে প্যাভিলিয়নে ফেরেন তালাত। ফিল্ডিংয়ে এদিন অনবদ্য মিলার দু’দলের মধ্যে পার্থক্য গড়ে দেন।
চার নম্বরে ব্যাট করতে নেমে শোয়েব মালিক ৩১ বলে ৪৯ রানের অধিনায়কোচিত ইনিংস খেললেও তা ম্যাচ জয়ের জন্য যথেষ্ট ছিল না। পরের দিকে ব্যাটসম্যানদের সহযোগীতা না পাওয়ায় লক্ষ্যমাত্রা থেকে ৬ রান দূরেই থেমে যেতে হয় সফরকারী দলকে।
এদিন আফ্রিকার ম্যাচ জয়ের পেছনে অসামান্য অবদান রাখেন ডেভিড মিলার। তিনি বাবর আজমের গুরুত্বপূর্ণ উইকেটটি সহ দুটি রান আউট করেন তিনি। এছাড়া তিনি নেন চারটি উইকেট। তাই ব্যাট হাতে ১২ বল থেকে ১০ রান করেও ম্যানসেরা নির্বাচিত হয় মিলার।
এর আগে তিন ম্যাচের টেস্টে সিরিজে ৩-০ ব্যবধানে হেয়াইট ওয়াশ হয় পাকিস্তান। এরপর ওয়ানডেতে ২-৩ ব্যবধানে সিরিজ হারে তারা।