দারুণ ছন্দে থাকা ম্যাঞ্চেস্টার সিটির বিরুদ্ধে চ্যাম্পিয়ন্স লিগের শেষ ষোলোর ফিরতি লেগে কোনও লড়াই করতে পারল না শালকে। জার্মানির ক্লাব দলটিকে নিয়ে রীতিমতো ছেলেখেলা করে গোল উৎসবে মেতে উঠল পেপ গুয়ার্দিওয়ালার দল। ঘরের মাঠে শালকে-কে ৭-০ গোলে হারাল অ্যাগুয়েরোরা।
প্রথম লেগে শালকের মাঠে ৩-২ গোলের কষ্টসাধ্য জয় পেয়েছিল ম্যাঞ্চেস্টার সিটি। দুই লেগ মিলিয়ে শালকে-কে ১০-২ গোলে হারিয়ে চ্যাম্পিয়ন্স লিগের কোয়ার্টার ফাইনালে পৌঁছে গেল ম্যাঞ্চেস্টার সিটি। এর চেয়ে বড় ব্যবধানে জেতার কীর্তি আছে একটিই। ২০০৮-০৯ মৌসুমে এই শেষ ষোলতেই দুই লেগ মিলিয়ে পর্তুগিজ ক্লাব স্পোর্টিংকে ১২-১ গোলে হারিয়েছিল বায়ার্ন মিউনিখ।
বুধবার রাতে ইত্তিহাদে ম্যাঞ্চেস্টার সিটি শুরু থেকেই আক্রমণে গতি বাড়ালেও প্রথম গোলের দেখা পায় ম্যাচের ৩৫ মিনিটে পেনাল্টি থেকে। বক্সে জেফরি ব্রুমা ফেলে দিলে ভিএআর প্রযুক্তির সাহায্য নিয়ে পেনাল্টির নির্দেশ দেন রেফারি। স্পট কিক থেকে গোল করতে কোনও ভুল করেননি সের্জিও অ্যাগুয়েরো। তিন মিনিট পরেই, সিটির হয়ে ব্যবধান বাড়ান সেই অ্যাগুয়োরো। ৪২ মিনিটে ব্যবধান ৩-০ করেন লেরয় সানে।
বিরতির পরেও গোল উৎসব চলতে থাকে সিটির। ৫৬ মিনিটে সানের বাড়ানো বলে ৪-০ করেন রহিম স্ট্রার্লিং। লাইন্সম্যান অফসাইডের পতাকা তুললেও রেফারি ভিএআরের সাহায্য নিয়ে গোল দেন। সানের দুর্দান্ত পাসে থেকে ৭১ মিনিটে পঞ্চম গোলটি করেন সিলভা। সাত মিনিট পরবর্তী হিসেবে নেমে গোল করেন ফিল ফোডেন। চ্যাম্পিয়ন্স লিগে ম্যান সিটির কনিষ্ঠতম ফুটবলার হিসেবে গোল করে নজির গড়লেন ফোডেন। ১৮ বছর ২৮৮ দিনে গোল করলেন তিনি। ৮৪ মিনিটে সিটির হয়ে সপ্তম গোলটি করেন অ্যাগুয়েরোর পরিবর্ত হিসেবে নামা গ্যাব্রিয়েল জেসুস।