২০০৬ সালের ৬ আগষ্ট অথাৎ আজকের দিনে বাংলাদেশের ক্রিকেটে যাত্রা শুরু হয় সাকিব আল হাসানের। প্রতিপক্ষ জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে বাংলাদেশের ওয়ানডে ক্রিকেট ইতিহাসের ৮২তম সদস্য হিসেবে অভিষেক হয়। সেদিনের ১৯ বছর বয়সী সেই পাতলা গড়নের তরুণই আজ বিশ্বসেরা অলরাউন্ডার হয়ে দাপিয়ে বেড়াচ্ছে বিশ্বদরবারে।
অভিষেক ম্যাচেই অলারউন্ডার পারফর্ম করে নিজের সক্ষমতার জানান দিয়েছিলেন সাকিব। বল হাতে ১০ ওভারে ৩৯ রান খরচায় এলটন চিগুম্বুরার উইকেট এবং ব্যাট হাতে ৪৯ বলে ৩০ রানের অপরাজিত ইনিংস খেলে নিজের আগমনী বার্তাটা ভালোভাবেই দেন সাকিব আল হাসান।
সেখান থেকে আর পিছু ফিরে তাকাতে হয়ইনি। নিজেকে নিয়ে গিয়েছে অন্য এক উচ্চতায়। একেরপর এক রেকর্ড গড়ে ক্রিকেট বিশ্বকে চমক দেখিয়ে বেড়াচ্ছে। সাকিবুল হাসান থেকে আজ সাকিব আল হাসান। তারকা থেকে মহা তারাকা।
বর্তমানে সাকিব ছাড়া বাংলাদেশের ক্রিকেটের কথা যেন চিন্তাই করা যায় না। দলের বিপর্যয়ের ব্যাট হাতে দাড়ানো ছাড়াও গুরুত্বপূর্ণ সময়ে উইকেট বের করে নেওয়ার তার জুরি নেই। আইসিসির সব ফরমেটে বিশ্বসেরা অলরাউন্ডার যেন একক ভাবে নিজের করে নিয়েছে লাস্ট ১০ বছর।
দেশের হয়ে তিন ফরম্যাট মিলিয়ে সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহকদের তালিকায় তামিমের পরই অবস্থান সাকিবের। বোলিং হাতে বাংলাদেশীদের মধ্যে তিনিই এখন শীর্ষে অবস্থান করছেন। এদেশের ক্রিকেটকে দুহাত ভরে দিয়েছেন। সামনে আরো দিবেন। আপনি শুধুই একজন ক্রিকেটার না, তার চেয়েও বেশি কিছু।
আন্তজার্তিক ক্রিকেট ক্যারিয়ারে ১৩ থেকে ১৪ বছরে পদার্পণ মিস্টার সাকিব আল হাসান। অভিনন্দন সুপারম্যান। আগামী দিনের জন্য শুভকামনা রইল নিজে ফিট রেখে আর ও ভাল কিছু উপহার দিবেন।