তাইজুলের ঘূর্ণিতে লণ্ডভণ্ড হয়ে গেল পাকিস্তানের প্রথম ইনিংস। একাই ৭ উইকেট নিজের ঝুলিতে জমা করলেন তাইজুল। বাংলাদেশের ছোড়া ৩৩০ রানকে ছুঁতে পারল না পাকিস্তান। ২৮৬ রানেই গুড়িয়ে গেল পাকিস্তানের ইনিংস। ৪৪ রানের লিড পেল বাংলাদেশ।
৪৪ রানে এগিয়ে থেকে ২য় ইনিংসে ব্যাটিং করতে নামবে বাংলাদেশ। পাকিস্তানের হয়ে সর্বোচ্চ ১২৭ রান করেন আবিদ আলী। এ ছাড়া ৫২ রান করেন আব্দুল্লাহ শফিক। এই দুই ওপেনার ছাড়া পাকিস্তানের কোনো ব্যাটসম্যানের ব্যাট হাসেনি। তাইজুল একাই নেন ৭ উইকেট। এবাদত ২ ও মিরাজ নেন ১টি উইকেট।
চট্টগ্রাম টেস্টের সকাল মানেই বোলারদের দাপট। ব্যাটারদের টিকে থাকার চ্যালেঞ্জ।
শুক্রবার প্রথম দিনে সকালে বাংলাদেশের ৪ উইকেট নিয়ে ফেলে পাক বোলাররা। তবে লড়াইয়ে টিকে থেকে গোটা দিনটাই পার করে দেন লিটন ও মুশফিক।
পরদিনই সকালে চ্যালেঞ্জে হারেন লিটন। মাত্র ১ রান যোগ করে ফেরেন। এরপর শাহিন, হাসানের সুইংয়ে উইকেট বিলিয়ে দিয়ে এসে ৩৩০ রানে থামে বাংলাদেশ।
তৃতীয় দিনের সকালেও উইকেটের সেই চ্যালেঞ্জ নিতে পারেননি পাক ব্যাটাররা। বলতে গেলে তাইজুলের চ্যালেঞ্জে হেরে গেলেন পাক ব্যাটাররা। তাইজুল একাই নিলেন ৭ উইকেট।
তাইজুলের ঘূর্ণিতে সাজঘরে ফিরেছেন – ওপেনার আবদুল্লাহ শফিক (৫২), আজহার আলি (০), ফাওয়াদ আলম (৮), ওপেনার আবিদ আলি (১১৩), হাসান আলি (১২), নুমান আলি (৮) এবং ফাহিম আশরাফ (৩৮)।
সর্তীথের মতো ভেলকি দেখিয়েছেন মিরাজও। তুলে নিলেন বাবর আজমের গুরুত্বপূর্ণ উইকেট।
এরপর পেসার এবাদতের ক্ষুরধার বোলিং দেখে ক্রিকেটপ্রেমীরা। ৯০তম ওভারে এবাদতের প্রথম ডেলিভারিটি ডিফেন্ড করতে গিয়ে ব্যর্থ হন উইকেটকিপার ব্যাটার মোহাম্মদ রিজওয়ান। বল লাগে প্যাডে। আপিলের চিৎকারে হাত উঁচু করেন আম্পায়ার।
৩৮ বলে মাত্র ৫ রান করেই সাজঘরে ফেরেন রিজওয়ান। এবাদতের দ্বিতীয় সাফল্য সাজিদ খান। ৫ রানে ব্যাট করা সাজিদের স্টাম্প উড়িয়ে দেন তিনি।