শুক্রবার বিপিএলে রংপুর ও ঢাকার মধ্যকার হাই ভোল্টেজ ম্যাচে রোমাঞ্চকর জয় পেলো সাকিবের দল। ঢকার দেওয়া ১৮৪ রানের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে ৯ উইকেটে ১৮১ রানে শেষ হয় রংপুরের ইনিংস। ২ রানের রোমাঞ্চকর জয় পায় ঢাকা।
বড় রানের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে শুরুটা ভালো ছিল না রংপুরের। তাদের হয়ে ওপেন করতে নামা গেইল ও মারুফ দুজনই এদিন ব্যাট হাতে ব্যর্থ হন। গেইল ৮ ও মারুফ ১০ রান করে প্যাভিলনে ফেরেন।
দলীয় ২৫ রানে দুই উইকেট হারিয়ে চাপে পড়া রংপুরকে তৃতীয় উইকেটে টেনে তেলেন রাইলি রুশো ও মোহাম্মদ মিঠুন। এই দুই ব্যাটসম্যান চলতি আসরে সর্বোচ্চ রানের পার্টনারশীপ গড়ে তোলেন। ব্যাট হাতে তাদের ৭২ বল ১২১ রানের জুটিতে রংপুরের জয়ের পথ সহজ মনে হচ্ছিল।
তবে দলীয় ১৪৬ রানের মাথায় রুশোর গুরুত্বপূর্ণ উইকেট তুলে নেন আলিস ইসলাম। ৪৪ বল থেকে ৮৩ রান করেন রুশো। পরের ওভারেই চতুর্থ উইকেটে ব্যাট করতে আসা বোপারাকে ৩ রানে নারিনের হাতে ক্যাচ বানিয়ে প্যাভিলনে ফেরত পাঠান সাকিব।
শেষ তিন ওভারে রংপুরের প্রয়োজন ছিল ২৬ রান। এ সময় ঢাকার হয়ে আবার বোলিংয়ে আসেন আলিস। তার করা প্রথম তিনটি বলে তিনটি রান দেন তিনি। কিন্তু ১৮তম ওভারের শেষ তিন বলে তিনি হ্যাটট্রিক উইকেট তুলে নেন।
প্রথমে তিনি ক্রিজে থাকা সেট ব্যাটসম্যান মিঠুনকে ৪৯ রানে ফেরান। পরবর্তীতে ষষ্ঠ উইকেটে মাশরাফি ও সপ্তম উইকেটে ব্যাট করতে আসা ফরহাদ রেজার উইকেট তুলে নেন। চলতি বিপিএল আসরের এটিই প্রথম হ্যাটট্রিক।
শেষ দুই ওভারে ১২ বল থেকে ২২ রানের প্রয়োজন ছিল রংপুরের। এ সময় নারিন ৮ রান দিয়ে আরো দুটি উইকেট তুলে নেন। শেষ ওভারে রংপুরের লক্ষ্য দাঁড়ায় ৬ বল থেকে ১৪ রান। বোলিংয়ে আসেন হ্যাটট্রিক বয় আলিস। স্ট্রাইকে থাকা শফিউল প্রথম দুই বল থেকে ৮ রান নিয়ে ম্যাচ জমিয়ে তোলেন। তৃতীয় বলে ১ রান নিয়ে শফিউল ক্রিজের অপর প্রান্তে গেলে স্ট্রাইকে আসেন অপু। তিনি ২ বল থেক ১ রান নিলে শেষ বলে রংপুরের ম্যাচ জিতেতে প্রয়োজন ছিল ৪ রান। তবে স্ট্রাইকে থাকা শফিউল ১ রানের বেশি নিতে পারেননি। ফলে রোমাঞ্চ ছড়িয়ে ২ রানের জয় পেয়ে যায় সাকিবের ঢাকা ডায়নামাইটস।
ঢাকার হয়ে ২৬ রান দিয়ে ৪টি উইকেট নেন আলিস। সুনিল নারাইন নেন ২টি উইকেট। এছাড়া হোম, সাকিব ও রাসেল নেন ১টি করে উইকেট।