ভারতের ক্রিকেটাররা অনেকেই জড়িত বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের ব্রান্ড অ্যাম্বাসেডর হিসেবে। সেই তালিকায় বড় নাম গুলোর মধ্যে একটি মহেন্দ্র সিং ধোনি। সেই ধারাবাহিকতায় ২০০৯ সালে ভারতের রিয়াল এস্টেট সংস্থা আম্রপালি গ্রুপের ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসেডর ছিলেন ধোনি। তবে এই কেম্পানিটির কাছে ৪০ কোটি টাকা বকেয়াসহ বিশ্বাসভঙ্গ এবং ঠকানোর অভিযোগ এনে সুপ্রিম কোর্টে মামলা করেছেন।
২০০৯ সালে রিয়াল এস্টেট সংস্থা আম্রপালি গ্রুপের ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসেডর হিসেবে কাজ শুরু করে মহেন্দ্র সিং ধোনি। এরপর ছয় বছর ধরে তাঁকে বিভিন্ন সময়ে ব্র্যান্ডিং এবং মার্কেটিংয়ের জন্যে ব্যবহার করে এই আম্রপালি সংস্থা। এরপর জানা যায় বাড়ি কিনতে এসে কয়েক হাজার গ্রাহকের সঙ্গে প্রতারণা করেছে আম্রপালি গ্রুপ।
২০১৬ সালে এই সংস্থার বিভিন্ন গ্রাহকরা প্রতারিত হওয়ার পর সোশ্যাল মিডিয়ায় প্রচার শুরু করেন। তখনই সেই চুক্তি থেকে বেরিয়ে আসেন এমএস ধোনি। শুধু ধোনি একা নন, তাঁর স্ত্রীর সাক্ষীও এই সংস্থার নানা সমাজসেবামূলক কাজের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন।
ধোনি জানিয়েছেন, ‘আম্রপালি গ্রুপের থেকে আমি ৩৮ কোটি ৯৫ লাখের কিছু বেশি পাই। তার মধ্যে ২২ কোটি ৫৩ লাখ টাকা মূলধন এবং ১৬ কোটি ৪২ কোটি টাকা ১৮ শতাংশ সিম্পল ইন্টারেস্ট।’
গ্রুপের প্রকল্পে গৃহীত প্রায় বিয়াল্লিশ হাজার ফ্ল্যাটের ক্রেতাদের দায়ের করা পিটিশনগুলিও সুপ্রিম কোর্ট আটক করেছে। ধোনিও তাঁর দাবি প্রমাণ করতে সংস্থার সঙ্গে সব চুক্তির নথিও শীর্ষ আদালতে জমা দিয়েছেন এম এস ধোনি।