এই ম্যাচ হারলে প্লে অফের আশাই কার্যত শেষ হয়ে যেত। এই অবস্থায় চেন্নাই সুপার কিংসের বিরুদ্ধে মাত্র ১ রানে রোমাঞ্চকর জয় পেল রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালুরু। ফলে ১০ ম্যাচে ৬ পয়েন্ট নিয়ে প্লে অফের আশা জিইয়ে রাখল আরসিবি। ১৬১ রান তাড়া করতে নেমে চেন্নাই থামল ১৬০ রানে। মাত্র ৪৮ বলে ৮৪ রানের অপরাজিত ইনিংস খেলেও মহাকাব্য রচনা করা হল না আর ধোনির। শেষ বলে ২ রান করতে না পেরে শেষ অবধি চেন্নাই ম্যাচ উপহার দিল আরসিবিকে।
শেষ ৬ ওভারে বাকি ছিল ৭৬ রান। সেখান থেকে শুরু হয় ধোনি ধামাকা। তার আগে ধোনি স্ট্রাইক বদলে খেলছিলেন। কারণ ওপেনার থেকে মিডল অর্ডার, কেউই এদিন ভালো খেলতে পারেননি। শেন ওয়াটসন (৫), ফ্যাফ ডু প্লেসিস (৫), সুরেশ রায়না (০) ব্যর্থ হন।
চার নম্বরে নামা অম্বাতি রায়াডুকে সঙ্গে নিয়ে ধোনি ইনিংস শুরু করে। রায়াডু ২৯ করে ফিরে গেলে ধোনি ম্যাচ জেতাতে নেমে পড়েন। শেষ ৪ ওভারে বাকী ছিল ৫৭ রান। এক ওভারে জেতার জন্য় প্রয়োজন ছিল ২৬ রান। উমেশ যাদবের ওভারের প্রথম পাঁচটি বলে ধোনির তিনটি ছয় ও একটি চারের সুবাদে ২৪ রান তুলে দিয়েছিলেন।
শেষ বলে জিততে প্রয়োজন ছিল ২ রান। তবে শেষ অবধি ধোনি বল মিস করে নেন স্ট্রাইকিং এন্ডে দৌড়ে গেলেও অপরদিকে ব্যাটসম্যান শার্দুল ঠাকুরকে রান আউট করেন উইকেটকিপার পার্থিব প্যাটেল। যার ফলে ধোনি ৪৮ বলে ৮৪ রানে অপরাজিত থাকলেও ম্যাচ জিতিয়ে ফিরতে পারলেন না। এক রানে হারতে হল।
এদিন টস হেরে প্রথমে ব্যাট করে আরসিবি তুলেছিল ১৬১। তবে প্রথমেই আট বলে নয় রান করে চাহারের বলে ধোনিকে ক্যাচ দিয়ে আউট হয়ে যান বেঙ্গালুরু অধিনায়ক।
দ্বিতীয় উইকেটে ব্যাট করেন এবি ডি ভিলিয়ার্স ও পার্থিব প্যাটেল। ১৯ বলে ২৫ রান করে আউট হন এবি ডি ভিলিয়ার্স। এছাড়া অক্ষদীপ নাথ ২০ বলে ২৪ রান করেন। ১৩ ওভারেই ১০০ রানের গণ্ডি পেরিয়ে যায় বেঙ্গালুরু। ডোয়েন ব্র্যাভোর বলে ওয়াটসনকে ক্যাচ দিয়ে পার্থিব প্যাটেল ফেরার আগে ৩৭ বল থেকে করেন ৫৩ রান।
শেষ দিকে ১৩ বলে ১৪ রান করে আউট হন মার্কাস স্তইনিস। ছয় বলে পাঁচ রান করে আউট হন নেগি। ১৬ বলে ২৬ রান করে আউট হন মইন আলি। ২০ ওভারে বেঙ্গালুরু থামে ১৬১-৭-এ।