বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগ ইতিহাসে বিপিএলের ষষ্ঠ আসরে সর্বোচ্চ দলীয় রানের স্কোর গড়ে মাশরাফির রংপুর রাইডার্স। চিটাগংয়ের বিরুদ্ধে টসে হেরে ব্যাট করতে নেমে দুই ব্যাটসম্যানের জোড়া সেঞ্চুরিতে ৪ উইকেটে ২৩৯ রানের পাহাড় গড়েছে তারা। এদিন রংপুরের হয়ে সেঞ্চুরি করেছেন এলেক্স হেলস ও রাইলি রুশো।
৪৮ বল থেকে নিজের সেঞ্চুরি পূরণ করে প্যাভিলনে ফেরেন হেলস। তার ইনিংসটি ১১টি চার ও ৫টি ছক্কায় সাজানো ছিল। রুশো সেঞ্চুরি পূরণ করেন ৫১টি বল খেলে। তার ইনিংসটি ৮টি চার ও ৬টি ছক্কায় সাজানো ছিল।
জোড়া সেঞ্চুরিতে ৪ উইকেট হারিয়ে ২৩৯ রানের চূড়ায় পৌঁছে যায় রংপুর। এটিই বিপিএল ইতিহাসে সর্বোচ্চ রানের ইনিংস। এর আগে ২০১৭ সালে বিপিএলে ২১৭ রানের সর্বোচ্চ স্কোর গড়েছিল ঢাকা ডায়নামাইটস।
বিপিএল ইতিহাসে প্রথমবারের মতো এক দলের হয়ে দুই ব্যাটসম্যান সেঞ্চুরির দেখা পেলেন। এটিও একটি রেকর্ড।
অন্যদিকে জয়টা অনুমিতই ছিলো রংপুর রাইডার্সের। হলোও তাই। মাশরাফিদের দেওয়া পাহাড়সম ২৪০ রানের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে চিটাগং ভাইকিংস ২০ ওভারে ৮ উইকেটে মাত্র ১৬৭ রান তুলতে সক্ষম হয়। মাশরাফির রংপুর জয় পেল ৭২ রানের বিশাল ব্যবধানে।
বিপিএল ইতিহাসে রেকর্ড রান তাড়া করতে নেমে কখনোই জয়ের সম্ভাবনা তৈরি করেত পারেনি চিটাগাং। এদিন চিটাগংয়ের হয়ে একমাত্র লড়াই করতে পেরেছেন ইয়াসির আলী। ওপেনিংয়ে নেমে তিনি ৪৮ বল থেকে ৬৮ রানের ঝলমলে ইনিংস খেলেন। তার পরেই দ্বিতীয় সর্বোচ্চ রান আসে মুশফিকের ব্যাট থেকে। তিনি ১১ বল থেকে ২২ রান করেন। এছাড়া শেহেজাদ ১২ বলে থেকে ২০ রান করেন।
আগের ম্যাচে ব্যাট হাতে ৩৯ রানের ঝড় তোলা মোসাদ্দেক এদিন ১৩ বল থেকে ১৪ রান করে মাশরাফির শিকারে পরিণত হন। শেষমেষ ২০ ওভার শেষে ৮ উইকেট হারিয়ে ১৭৬ রানে শেষ হয় চিটাগংয়ের ইনিংস।
বল হাতে এদিন দলকে সামনে থেকে নেতৃত্ব দিয়েছেন মাশরাফি। তিনি ৩৪ রানে ৩টি উইকেট নেন। এছাড়া ফরহাদ রেজা ২৯ রানে ২টি উইকেট নেন। শহিদুল ও নাজমুল ১টি করে উইকেট নেন।
পয়েন্ট টেবিলে এখন ৯ ম্যাচে রংপুরের জয় ৫টি। যা তাদেরকে টেবিলের চতুর্থ স্থানে থেকে তৃতীয় স্থানে তুলে আনল। অপরদিকে ৮ ম্যাচে দুই হারে টেবিলের শীর্ষ স্থানেই থেকে গেলে মুশফিকের চিটাগং ভাইকিংস।