বিশ্বাস হোক বা নাই হোক বৃদ্ধ বয়েসে তাও আবার ৯৯ বছর বয়সে সাঁতারে বিশ্বরেকর্ড গড়েছেন জর্জ করোনেস। জীবনে যে কোনো বাধা অতিক্রম করতে যে বয়স লাগে না তা প্রমান করে দিলেন জর্জ করোনেস।
গত বুধবার কুইন্সল্যান্ডে ১০০-১০৪ বছর বয়সভিত্তিক সাঁতারে ৫০ মিটার ফ্রিস্টাইল ৫৬.১২ সেকেন্ডে শেষ করেন জর্জ। সেই সাথে ২০১৪ সালের ব্রিটিশ সাঁতারু জন হ্যারিসনের গড়া রেকর্ডকে পিছনে ফেলে দিলেন প্রবীণ এই সাঁতারু।
জর্জ করোনেসকে বিশ্বরেকর্ড হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়ার আগে আন্তর্জাতিক সুইমিং ফেডারেশন (ফিনা) তা আনুষ্ঠানিকভাবে যাচাই করে দেখবে। বিবিসি জানিয়েছে, ১০০ থেকে ১০৪ বছরের বয়সভিত্তিক সাঁতারে করোনেস রেকর্ডটির যোগ্য। কারণ আগামী মাসেই তিনি ১০০ বছরে পা দেবেন।
তবে এতকিছুর পরও একটা মজার ব্যাপার হলো ৫০ মিটার ফ্রিস্টাইল (১০০-১০৪ বছর) ইভেন্টে করোনেসের কোনো প্রতিদ্বন্দ্বী ছিল না! ব্রিসবেনের এই সাঁতারুকে আয়োজক কর্তৃপক্ষ বিশ্বরেকর্ডটি ভাঙার চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে দিয়েছিলেন। অস্ট্রেলিয়ার সাঁতারু দল ডলফিন্স এই ৯৯ বছর বয়সীর কীর্তি দেখে তাদের ফেসবুক পেজে লিখেছে, ‘আমরা এইমাত্র ইতিহাস গড়া দেখলাম।’ তাছাড়া আরো একটি অদ্ভুত ব্যাপার হলো অস্ট্রেলিয়ান সাঁতারু জর্জ করোনেস শরীর ঠিক রাখতে শুধু ব্যায়াম করতে সাঁতার শুরু করেন ৮০ বছর বয়সে!
বিশ্বরেকর্ড গড়া নিয়ে তাঁর ভাষ্য, ‘এই বয়সে গতি তুলতে কিছুটা সময় লাগবেই। কিন্তু একটু বুদ্ধি খাটালেই অবিশ্বাস্য ফল পাওয়া যায়। এই সাঁতারটা ছিল আমার জন্য উদাহরণ।’
তাছাড়া করোনেস সামনে ১০০ মিটার ফ্রিস্টাইল সাঁতারে তার নাম লিখিয়েছেন। যদিও এই রেকর্ডটি এখনো হ্যারিসনের দখলে। তারপরেও সেই রেকর্ড ভাঙার লক্ষ্যে করোনেস বলছেন, ‘তারুণ্য তো পেছনে ফেলে এসেছি। কিন্তু আমি সত্যিই এটা অর্জন করতে চাই এবং সেটা করার আত্মবিশ্বাসও আমার আছে।’