সেমির আশা বাঁচিয়ে রাখতে হলে আজ জিততেই হবে বাংলাদেশকে। বাঁচা মরার এই ম্যাচে সে ক্ষেত্রে একটা বাড়তি চাপ কাজ করবেই। তার বাইরেও গত চার পাঁচ বছরে ভারত বাংলাদেশ ম্যাচ মানে হাই ভোল্টেজ ম্যাচ আর উত্তেজনায় ভরপুর। কেননা সব কটি ম্যাচের ফলাফল দাঁড়ায় শেষ ওভারের খেলায়; টান টান উত্তেজনার মধ্যে দিয়ে।
২০০৭ সালে ওয়েস্ট ইন্ডিজে হওয়া বিশ্বকাপে ভারতকে হারিয়ে টুর্নামেন্ট থেকে ছিটকে ফেলেছিলো টাইগাররা। সেই ম্যাচে ম্যাচসেরা হয়েছিল বাংলাদেশের বর্তমান দলপতি মাশরাফি বিন মর্তুজা।
বিরাট কোহালিদের বিরুদ্ধে খেলতে নামার আগে মাশরফি তার সতীর্থদের কোন ভাবেই উত্তেজিত না হওয়ার পরামর্শ দিলেন। বাংলাদেশ অধিনায়কের আরও মন্তব্য, ‘‘এই সব ম্যাচে শুরু থেকেই স্নায়ুর চাপ থাকবে। বাইরের চাপটাও অসম্ভব। আমাদের নিজেদের এই চাপের বাইরে রাখতে হবে।’’
এই ম্যাচ ঘিরে সোশ্যাল মিডিয়ায় সাংঘাতিক উত্তপ্ত একটা পরিমণ্ডল ইতিমধ্যেই সৃষ্টি হয়েছে। যা নিয়ে মাশরফি বলেছেন, ‘‘আমাদের এখন একটাই কাজ। এই ধরনের উত্তেজনা থেকে দূরে থাকা। সোশ্যাল মিডিয়ায় যা হচ্ছে বা হবে, তা আমাদের ভাল খেলতে সাহায্য করবে না। তাই এ সব নিয়ে যত কম মাথা ঘামানো যায় তত ভাল। সন্দেহ নেই এই ম্যাচটায় দারুণ খেলে জিততে পারলে সেটা একটা বিরাট সাফল্যের ব্যাপার হবে বাংলাদেশের কাছে।’’
মাশরফিকে ২০০৭-এর সেই ম্যাচ নিয়ে প্রশ্ন করা হলে জবাব দিয়েছেন, ‘‘সত্যিই সেটা একটা সুখস্মৃতি। সেই বিশ্বকাপে আমাকে দারুণ ভাবে পথ দেখিয়েছিল সুমন (হাবিবুল বাশার) ভাই।’’ এমনিতে মাশরফি মনে করছেন মঙ্গলবার কোহালিদের বিরুদ্ধে বাংলাদেশের তুরুপের তাস হয়ে উঠতে পারেন মুস্তাফিজ়ুর রহমান। যিনি অতীতে বারবার ভারতীয় ব্যাটসম্যানদের সমস্যায় ফেলেছেন। তা ছাড়া এ বারের বিশ্বকাপেও ১০ উইকেট নিয়েছেন। মাশরফির কথায়, ‘‘যদি নিজের সেরা ছন্দে থাকে মুস্তাফিজ আর ওর কাটারগুলো ঠিকঠাক দিতে পারে, তা হলে সেটা আমাদের জন্য বিরাট সুবিধার ব্যাপার হবে। তা ছাড়া আমাদের সবার চেষ্টা হবে, ম্যাচের বিভিন্ন পরিস্থিতিতে নিজেদের সেরা ক্রিকেটটা খেলা।’’
ভারতের বিপক্ষে ম্যাচ জিততে হলে শতভাগ দিয়েই খেলতে হবে বাংলাদেশকে। আর শতভাগ দিতে গেলে বাড়তি কোনো চাপ বা উত্তেজনা একদমই নেওয়া যাবে না। এই ম্যাচে সাকিব-তামিম-মুশফিক-মুস্তাফিজের দিকে তাকিয়ে আছে পুরো বাংলাদেশ। শুধু তাদের দিকে তাকিয়ে থাকলেই হবে এমন নয়, এরকম বড় ম্যাচ জিততে গেলে পারফর্ম করতে হবে সবাইকে।