বুধবার রাতে স্ট্রাসবুর্গকে ২-০ গোলে হারিয়ে ফরাসি কাপের শেষ ষোলোতে জায়গা করে নিয়েছে প্যারিস সেন্ট জার্মেইন। এই জয়ে একটি করে গোল করেন এডিসন কাভানি ও অ্যাঙ্গেলো ডি মারিয়া। তবে এই জয় তাদেরকে স্বস্থি দিচ্ছে না। কারণ ডান পায়ের গোড়ালিতে পূর্বের জায়গায় আবারো নতুন করে চোট পেয়েছেন নেইমার। ধারণা করা হচ্ছে আবারো চিকিৎসকের চুরি কাচির নিচে যেতে হতে পারে তাকে।
বুধবার রাতে নিজেদের মাঠে ম্যাচের ৬০ মিনিটে চোটটা পান নেইমার। বল নিয়ে প্রতিপক্ষের সীমানায় যাচ্ছিলেন। কিন্তু হঠাৎ ব্যথা টের পান। এর মধ্যে অবশ্য প্রতিপক্ষ ডিফেন্ডার ডিয়োগো গণক্যাল্ভ্স তাকে কড়া ট্যাকল করেছিলেন। পরে তাকে মাঠের বাইরে নিয়ে যাওয়া হয়। প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে আবার মাঠে নামলেও খেলতে পারেননি। ফলে কাঁদতে কাঁদতে ড্রেসিংরুমে চলে যান বার্সেলোনার সাবেক এই তারকা।
গত বছরের ফেব্রুয়ারিতেও বিশ্বকাপের আগে মার্সেয়ের বিপক্ষে একই ধরণের ইনজুরিতে পড়েছিলেন নেইমার। যা তার বিশ্বকাপে অংশ নেওয়াই শঙ্কার মধ্যে ফেলে দিয়েছিল। তবে অস্ত্রপচারের তিন মাস পর বিশ্বকাপের আগ মুহূর্তে তিনি ব্রাজিল দলে যোগ দিতে পেরেছিলেন।
পরীক্ষা-নিরীক্ষার পর নেইমারের চোট সম্পর্কে বিস্তারিত জানা যাবে বলে জানিয়েছেন পিএসজির কোচ। তিনি বলেন, ‘ম্যাচে সে তিনবার ফাউলের শিকার হয়েছে, একটি পর আরেকটি। রেফারি কিছুই দেয়নি। ওর পা মুচড়ে যায়। সে এখন হাসপাতালে আছে। চিকিৎসক আমাকে কী সংবাদ দেন, তার জন্য আমাকে অপেক্ষা করতে হবে।’
বিবৃতিতে দিয়ে পিএসজি জানিয়েছে, ‘প্রাথমিক পরীক্ষায় তার (নেইমার) ডান পায়ের ফিফথ মেটাটারসালে আঘাতের বেদনাদায়ক পুনরাবৃত্তি ঘটেছে। এর চিকিৎসা কীভাবে হবে তার জানতে আমাদের আরও কয়েকদিন সময় লাগবে।’
নেইমারের এই ইনজুরিতে চ্যাম্পিয়ন্স লিগের শেষ ষোলেতে ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের বিপক্ষে তার খেলা অনিশ্চিয়তার মধ্যে পড়ে গেল। আগামী ১২ ফেব্রুয়ারি ওল্ড ট্র্যাফোর্ডে প্রথম লেগে মুখোমুখি হবে দল দুটি।
উল্লেখ্য, এর আগে গুইনগাম্পের বিপক্ষে ইনজুরিতে পড়েছিলেন পিএসজির ইতালিয়ান মিডফিল্ডার মার্কো ভারেত্তির। এখন নতুন করে নেইমারের চোট যে পিএসজির জন্য বড় একটি ধাক্কা সেটি অস্বীকার করার উপায় নেই।