২০২২ সালে নেপালকে ৩-১ গোলে হারিয়ে প্রথমবারের মতো নারী সাফ চ্যাম্পিয়নশিপের চ্যাম্পিয়ন হয়েছিল বাংলাদেশের মেয়েরা। এবারও ঐতিহাসিক কাঠমান্ডুর দশরথ রঙ্গশালা স্টেডিয়ামে প্রতিপক্ষ সেই নেপালকে ২-১ গোলে হারিয়ে শিরোপা ধরে রাখলো তারা। টানা দ্বিতীয়বার সাফের চ্যাম্পিয়ন হলো বাংলাদেশ।
ম্যাচের শুরু থেকেই আক্রমণাত্মক ফুটবল খেলে এগিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেছে নেপাল ও বাংলাদেশ। কিন্ত প্রথমার্ধে গোল আদায় করতে পারেনি কোনো দলই।
শুরুতেই ভালো সুযোগ পেলেও তা কাজে লাগাতে পারেনি। নেপালি গোলরক্ষকের ভুলে দ্বিতীয় মিনিটে সুযোগ এসেছিল তহুরার সামনে। তবে তহুরার শট সাইড পোস্টে লাগলে বেঁচে যায় নেপাল।
আরও পড়ুন: টিভিতে আজকের খেলা (৩১ অক্টোবর ২০২৪)
পাল্টা আক্রমণ করে নেপাল। আমিশা কার্কির শট পোস্টে লাগলে গোলবঞ্চিত হয় স্বাগতিকরা। অতিরিক্ত আক্রমণাত্মক খেলতে থাকলে মাঝে মধ্যে বাংলাদেশের রক্ষণ ফাঁকা হয়ে যায়। তা কাজে লাগানোর চেষ্টা করে নেপালের আক্রমণভাগের খেলোয়াড়রা।
২৭ মিনিটে ভালো একটা সুযোগ পান নেপালের ফরোয়ার্ড আমিশা। কিন্তু সেও তা কাজে লাগাতে পারেনি। এ সময় রক্ষণে দৃঢ়তা দেখিয়ে বাংলাদেশ নিজেদের রক্ষা করে। ৩৩ মিনিটে নেপাল বক্সের ঠিক বাইরে ফ্রি-কিক পায় বাংলাদেশ। তবে সেটাও কাজে লাগাতে ব্যর্থ হয় তারা। এভাবেই গোলহীনভাবে কেটে যায় খেলার প্রথমার্ধ।
দ্বিতীয়ার্ধের খেলা শুরুর মাত্র ৭ মিনিটের মধ্যেই গোলের দেখা পায় বাংলাদেশ। মনিকা চাকমা তার দুরদর্শীতা দিয়ে বল পাঠিয়ে দেয় নেপালের জালে।
তবে বেশিক্ষণ এগিয়ে থাকতে পারেনি সাবিনারা। ৫৬ মিনিটে ম্যাচে সমতা আনেন নেপালের আমিশা কারকি।
আরও পড়ুন: বাফুফের পর বিসিবিতেও গঠনতন্ত্র সংস্কারের হাওয়া
সমতায় ফেরার পর বাংলাদেশ আবার এগিয়ে যেতে মরিয়া। বাম দিক থেকে ঋতুপর্না চাকমা বারবার বল ফেলছিলেন নেপালের গোলমুখে। ৮১ মিনিটে তিনি বাম দিক দিয়ে ঢুকে দুর্দান্ত এক শট নেন। বল নেপালের জালে জড়িয়ে যাওয়ার সাথে উল্লাসে ফেঁটে পড়েন সাবিনারা। শেষ পর্যন্ত ওই গোল ধরে রেখে ২-১ ব্যবধান জিতে শিরোপা ধরে রাখে তারা।
নারী ফুটবলের ইতিহাসে সাফ চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনালে এ নিয়ে দুইবার নেপালকে হারালো বাংলাদেশ।