দীর্ঘ পাঁচ বছর পর স্বাধীনতা কাপের ফাইনালে উত্তীর্ণ হয়েছে ঢাকা আবাহনী। ১ম সেমিফাইনালে সাইফ স্পোর্টিংকে ২-০ গোলের ব্যবধানে পরাজিত করে ঢাকার ফুটবলের অন্যতম পরাশক্তিরা।
আবাহনীর পক্ষে গোল ২টি করেন দ্যানিয়েল কলিন্দ্রেস সোলেরা এবং নাবিব নেওয়াজ জীবন। ২ ফরোয়ার্ডের নৈপুণ্যে সাইফ স্পোর্টিংকে হারিয়ে স্বাধীনতা কাপের ফাইনালে উঠল মারিও লেমোসের দল।
পুরো ম্যাচজুড়ে আক্রমণে এগিয়ে থাকা সাইফ স্পোর্টিং প্রথম মিনিটেই ভালো সুযোগ পায়। কিন্তু নাইজেরিয়ান ফরোয়ার্ড এমফন সানডে উদোহর কাট ব্যাক পেয়ে বক্সের ভিতরে অরক্ষিত থাকলেও মারাজ হোসেন দুর্বল শটে পরাস্ত করতে পারেননি গোলরক্ষক মাহফুজ হাসান প্রীতমকে।
চতুর্দশ মিনিটে আবারও সুযোগ নষ্ট হয় সাইফ স্পোর্টিংয়ের। মাঝ মাঠ থেকে বক্সে ঢুকে কাট-ব্যাক করেন উদোহ, কিন্তু বক্সের ভিতরে তালগোল পাকিয়ে বলের নিয়ন্ত্রণই নিতে পারেননি আসরোর গফুরোভ।
২৫তম মিনিটে কলিনদ্রেসের দারুণ ফ্রি কিকে এগিয়ে যায় আবাহনী। প্রায় ২২ গজ দূর থেকে কোস্টারিকার এই ফরোয়ার্ডের ডান পায়ের ফ্রি কিক রক্ষণ দেয়ালের উপর দিয়ে ঠিকানা খুঁজে নেয়।
প্রথমার্ধের যোগ করা সময়ে ডান দিক দিয়ে বক্সে ঢুকে টোকায় চেষ্টা করেন আবাহনীর রাকিব হোসেন, কিন্তু বল উড়ে যায় ক্রসবারের উপর দিয়ে।
দ্বিতীয়ার্ধে দুই দলের খেলায় গতি কমে কিছুটা। কার্যকরী ফরোয়ার্ড না থাকায় ভুগতে থাকে সাইফ স্পোর্টিং। ৬৮তম মিনিটে উদোহর থ্রো ইনে মারাজের ফ্লিক জমে যায় প্রীতমের গ্লাভসে।
৮১তম মিনিটে আরেকটি ফ্রি কিক থেকে জয় অনেকটাই নিশ্চিত হয়ে যায় আবাহনীর।
দ্বিতীয়ার্ধের যোগ করা সময়ে দুর্বল শটে মেহেদী হাসানও গোলরক্ষকের হাতে তুলে দিয়ে নষ্ট করেন ব্যবধান বাড়ানোর সুযোগ। এরপর ফয়সাল আহমেদ ফাহিমের শট সরাসরি প্রীতমের কাছে গেলে হারের হতাশা নিয়েই মাঠ ছাড়তে হয় সাইফ স্পোর্টিংকে।
প্রসঙ্গত, ২০১৬ সালে সবশেষ স্বাধীনতা কাপের ফাইনাল খেলেছিল আবাহনী। দুই আসর পর আবারও এ প্রতিযোগিতার ফাইনালের মঞ্চে উঠল তারা।